পিছিয়ে গেল পেগাসাস মামলার শুনানি। মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে সময় চাওয়া হয়েছে, তাই শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। আগামী সোমবার ফের শুনানি হবে। এদিকে আজ সুপ্রিম কোর্টে পেগাসাস মামলার শুনানি লাইভ টেলিকাস্ট করা হোক, এই মর্মে আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতি এন ভি রামণকে চিঠি দেন বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। জরুরি ভিত্তিতে যাতে বিষয়টিতে নজর দেওয়া হয় তার জন্য প্রধান বিচারপতিকে আৰ্জি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, আজই পেগাসাস মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ন’জন মামলাকারীর আইনজীবীকেই সরাসরি সরকারের কাছে পিটিশন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, সোমবার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। মঙ্গলবার আদালতে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “মামলাকারীর সোশ্যাল মিডিয়ায় পেগাসাস নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করছেন। তারা আদালতে এসেছেন। আদালতের উপর ভরসা রাখা উচিত। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল করা, না করা তাদের ব্যাপার। তবে, আদালতের দ্বারস্থ যখন হয়েছেন তখন আদালতের উপর ভরসা রাখুন।”
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টে পেগাসাস মামলা গৃহীত হয়। প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল ওই দিন সাংবাদিক এন রামের পক্ষে সওয়াল শুরু করেন। সুপ্রিম কোর্টে পেগাসাস মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণের পর্যবেক্ষণ ছিল, অভিযোগ অত্যন্ত মারাত্মক। কিন্তু, শুধুমাত্র সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা হয়না। তিনি জানতে চান, কোথাও কোনো অপরাধী অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে কিনা।পাশাপাশি বিচারপতি বলেন, যাদের নাম উঠে আসছে তারা অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাশালী মানুষ। এই মামলার নথিতে কিছুই নেই তা বলা যাবে না কিন্তু আরও অনেক তথ্যের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন-আমবাসায় তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার, চলছে পুলিশি সন্ত্রাস
যত দিন বাড়ছে, ততই পেগাসাস ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর বাড়ছে। পেগাসাস মামলার শুনানির ঘটনাপ্রবাহে নজর রাখছে গোটা দেশ। রাজনৈতিক নেতা থেকে আইনজীবী, বিখ্যাত সাংবাদিক-সহ বহু নাম রয়েছে পেগাসাস কাণ্ডের তালিকায়। বিরোধীরা জানতে চায়, এই আড়িপাতায় সরকার প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত কিনা। কারণ সরকার ছাড়া নৈতিকভাবে কোনও পক্ষই এই হাতিয়ার ব্যবহার করতে পারে না। সরকারের ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার মূলত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতিসাপেক্ষ। অপহরণ, জঙ্গিদের মনিটারিং-এই সব ক্ষেত্রেই এই স্পাইওয়ার ব্যবহৃত হওয়ার কথা।