বাণী বসু—
একজন সাহিত্যিক আক্রান্ত হলেন, এটা বড় কষ্টের। তাও আবার একটি উন্নত দেশে। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এমন কাণ্ড ঘটায় অশিক্ষিত ও অবিবেচক মানুষরাই। আমি আতঙ্কিত। আশঙ্কিত। মানুষকে মুক্ত চিন্তা করার স্বাধীনতা দিতে হবে। কারও উপর কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়া ঠিক বলে আমি মনে করি না। সলমন রুশদি খুব বড় মাপের লেখক। আমার খুব প্রিয়। অত্যন্ত মেধাবী এবং বুদ্ধিমান। তাঁর উপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছি।
আরও পড়ুন-প্রকাশিত হল ‘কাছের মানুষ সুব্রত’
সুবোধ সরকার—
সলমন রুশদি আক্রান্ত হয়েছেন। কোনও লেখকের উপরে এরকম আক্রমণ নেমে আসা উচিত নয়। যদি কোনও বই পছন্দ না হয়, পড়বে না। বইটা ভাল না লাগলে সেটাকে সরিয়ে রাখো। সমালোচনা করার জন্য তার বিরুদ্ধে একটা বই লেখো। সেটা না করে কোনও লেখককে ছুরি দিয়ে আঘাত করা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। এটা খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা। আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। একটা উন্নত দেশে এরকম ঘটনা ঘটে গেল, এটাও খুব মর্মান্তিক। আমাদের উপমহাদেশে তো বটেই, ইউরোপ-আমেরিকার ক্ষেত্রেও এটা ভাল বার্তা নয়।
আরও পড়ুন-কবিতার মান্দাসে ভাসে কালের ‘কঙ্কাল’
অমর মিত্র—
সলমন রুশদির নিরাপত্তা নিয়ে শিথিলতা হয়েছে। উনি খুব বড় লেখক। এইভাবে আক্রান্ত হবেন নিজেও বোধহয় ভাবেননি। মাঝেমধ্যে কিছু কিছু মানুষের মনে অন্ধকার চেপে বসে। তখনই তারা এইরকমের ঘটনা ঘটায়। হত্যা করতে উদ্যত হয়। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। যে কোনও বিষয়ে মতের মিল না হতেই পারে। তার জন্য এইরকম ঘটনা ঘটানো উচিত নয়। একদিকে আমরা এগোচ্ছি। বিজ্ঞান, টেকনোলজির উন্নতি হয়েছে। উত্তর পেয়েছি বহু প্রশ্নের, পাশাপাশি আমরা ধর্মীয় ক্ষেত্রে ফিরে যাচ্ছি মধ্যযুগে। এর ফলে বিড়ম্বিত হচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবন। কথা হোক। মতের অমিল হলে তর্কবিতর্ক হোক। এইভাবে সন্দেহ নিরসন হোক। হত্যা-রক্তপাত একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।