বেসরকারিতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথীতে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে বিপ্লবী ডাক্তাররা

কর্মবিরতিতে চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ মরেছে সরকারি হাসপাতালে

Must read

প্রতিবেদন : ৯ অগাস্ট থেকে ১৭ অক্টোবরের কর্মবিরতির ছুতোয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাননি গরিব মানুষ। বেঘোরে প্রাণ গিয়েছে অনেকের। রোগীর পরিবার হাতে-পায়ে ধরলেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ এই মহান বিপ্লবী ডাক্তাররা বেসরকারি হাসপাতালে, নার্সিংহোমে চুটিয়ে রোগী দেখেছেন, অপারেশন করেছেন। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের (Swasthya Sathi) মাধ্যমে রোগীদের মারফত কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছেন। প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ এবিষয়ে তথ্য-সহ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় সবটা তুলে ধরেছেন। একটি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেরই ৫ সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার স্বাস্থ্যসাথীতে রোজগার করেছেন ৫৪.৩৯ কোটি টাকা। এই ডাক্তাররা হলেন, সমুদ্র গুপ্ত, নাসিম মণ্ডল, অভিষেক চক্রবর্তী, বিপুল রায় ও কৃষ্ণেন্দু বেরা। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে কর্মবিরতি করা জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির সময় টপ ৫ সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার স্বাস্থ্যসাথীতে (Swasthya Sathi) কামিয়েছেন ১.৮৮ কোটি টাকা। তথ্য বলছে, বর্তমানে রাজ্যে ৩,৩২৯ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট কাজ করছেন। এর মধ্যে ৯ অগাস্ট থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৫৬৩ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার কর্মবিরতির সময় বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করেছেন। যেগুলি স্বাস্থ্যসাথী তালিকাভুক্ত। এরা মোট ৭৩,৯০৫টি কেসের চিকিৎসা করেছেন। যার খরচ ৫৪.৩৯ কোটি টাকা। সর্বোপরি এই সময়কালে স্বাস্থ্যসাথীতে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে মোট খরচ হয়েছে ৪৩০ কোটি টাকা। এখানেই শেষ নয়, এই তথ্য শুধু বিপ্লবী সেজে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে দেওয়ার ও সেইসঙ্গে নিজেদের পকেট ভরার নমুনা মাত্র। এরপর কী বলবেন বিপ্লবীরা?

আরও পড়ুন- কল্যাণের সওয়াল, আবার ক্লাস করতে পারবেন ওই পড়ুয়ারা

Latest article