সংবাদদাতা, মালদহ : চাঁচলে বিজেপির অন্তর্কলহ আরও প্রকট হয়ে পড়ল। পুরনো কর্মীদের সঙ্গে সৎ ছেলের মতো আচরণের পাশাপাশি কাজ করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে বিজেপি ছেড়েছেন যুব মোর্চার ১২ নম্বর মণ্ডল কমিটির কোষাধ্যক্ষ সন্দীপ পান্ডে-সহ একাধিক কর্মী-সমর্থক। একের পর এক বিতর্কে জেরবার বিজেপি। প্রকাশ্যে এসে পড়েছে দলের অন্দরের কঙ্কালসার চেহারা। সন্দীপবাবুদের দল ছাড়ার ঘটনায় বিজেপির মুখ পুড়েছে।
আরও পড়ুন-চা-বাগানে দুয়ারে সরকার
উত্তর মালদহের সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রতন দাসের বিরুদ্ধে পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ফলে মালদহের চাঁচলে ক্রমশ প্রকট হচ্ছে বিজেপির অন্তর্কলহ। তারই জেরে শুরু হয়েছে ভাঙন। সরাসরি দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে দলত্যাগ করেছেন সন্দীপ ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। তিনি বলেন, আর ওই দল করা যাচ্ছিল না। কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না। জেলা সভাপতিকে ফোনে পাওয়া যায় না বলেও তাঁর অভিযোগ। উত্তর মালদহের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, গুরুত্ব না দেওয়ার কথা ঠিক নয়। বিজেপির এই অন্তর্কলহকে কটাক্ষ করে মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবদুর রহিম বকসি বলেন, বিজেপির ভাঁওতাবাজি বুঝতে পেরে চাঁচলে দল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে ঘরোয়া কোন্দল রুখতে ক্ষতে মলম দিয়েছিলেন। কিন্তু চাঁচলের ঘটনা প্রমাণ করল, বাংলার বিজেপি রয়েছে অন্তর্কলহকে ঘিরেই।