সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : নিম্নচাপের প্রভাবে রবিবার সকাল থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে মেঘলা আকাশ। দুপুরে উপকূলে বৃষ্টি শুরু হয়। দুর্যোগের আঁচ পড়তে শুরু করেছে সুন্দরবনে। সুন্দরবনের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে কাকদ্বীপ (Cyclone- Kakdwip) মহকুমার বকখালি, সাগর, কাকদ্বীপে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। এই সিসিটিভির ফুটেজ সরাসরি চলে যাচ্ছে নবান্নর কন্ট্রোল রুমে। জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নির্দেশ দেওয়া হবে জেলা কন্ট্রোল রুম ও মহকুমা কন্ট্রোল রুমে। শনিবার রাতের মধ্যে জেলার বন্দর ও ঘাটে ফিরে এসেছে বেশিরভাগ মৎস্যজীবী ট্রলার। এখনও কোনও ট্রলার সমুদ্রে আছে কি না তা খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। রবিবার বেলায় কাকদ্বীপের (Cyclone- Kakdwip) মুড়িগঙ্গা নদীতে পুলিশের অভিযানে একটি মৎস্যজীবী নৌকা আটক করা হয়েছে। নিয়ম ভেঙে মাছ ধরছিল নৌকাটি। ফ্রেজারগঞ্জ ঘাঁটির উপকূলরক্ষী বাহিনী হোভার ক্র্যাফ্ট ও ড্রোনিয়ার দিয়ে নদী-সমুদ্রে ট্রলারে খোঁজ চালানো হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের চারটি দল জেলায় পৌঁছে গিয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা বেলায় সাগর, কাকদ্বীপ, কুলতলি, গোসাবায় মাইকিং করে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সাগর, পাথরপ্রতিমা ও নামখানা ব্লক থেকে দশ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। পরিস্থিতি বিচার করে সোমবার উপকূলের আরও বাসিন্দাদের সরানো হবে। তৈরি রাখা হয়েছে ফ্লাড শেল্টার ও স্কুল। তবে কালীপুজো ও দীপাবলির জন্য উপকূলের বাসিন্দাদের তুলে আনতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কারণ প্রান্তিক মানুষগুলো উৎসবে নিজেদের ভিটেমাটি ছাড়তে রাজি হচ্ছে না। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সবরকমভাবে সাহায্যের কথা জানানো হচ্ছে। অন্যদিকে জেলার কালীপুজোর উদ্যোক্তারা চিন্তায় আছেন। ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে সব লন্ডভন্ড হয়ে যেতে পারে। পুলিশও প্যান্ডেলগুলির ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখবে। সোমবার সকাল থেকে সুন্দরবনের সব ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিকেলে জেলা সদর আলিপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা জানান, আমরা পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। দশ হাজার মানুষকে ইতিমধ্যে তুলে আনা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে ২৪ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের উন্নয়নই চক্রান্ত রুখে দেবে