সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : রবীন্দ্রনাথকে অপমানের জবাবে আগামীতে বাংলার মানুষ বিজেপিকে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। শান্তিনিকেতনের ধর্নামঞ্চে এসে বললেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তৃণাঙ্কুর ছাড়াও এদিনের সভায় ছিলেন ছাত্র পরিষদ সহসভাপতি কোহিনুর মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য প্রমুখ। তৃণাঙ্কুর বলেন, রবীন্দ্রনাথের অপমানের প্রতিবাদ আমাদের নেত্রী করেন। কোথায় রাজ্যপাল? যেখানে সুযোগ পান সেখানে চলে যান। এখানে আসছেন না কেন? এখানে এসে কেন বলছেন না, ফলক সরাও। রবীন্দ্রনাথ নামাঙ্কিত ফলক বসাও। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এসব করার সাহস পাচ্ছেন। রবীন্দ্রনাথের নাম বাদ দিয়ে শুধু অপমান নয়, বিজেপি রবীন্দ্রনাথকে অস্বীকার করতে চাইছে। রবীন্দ্রনাথকে অপমান মানে বাংলার অপমান। আমাদের আইডেনটিটির অপমান। আগামী দিনে বোলপুরের মানুষ বিচার করবে তারা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের অপমান মেনে নেবে না।
আরও পড়ুন-শুরু হল উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা বজায় রেখেই কাউন্সেলিং
আরেক ঘটনায় শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সচিব শান্তিনিকেতন থানায় বিশ্বভারতী উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন। ঐতিহ্যবাহী উপাসনাগৃহের সামনে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের বিনা অনুমতিতে ‘অরাবীন্দ্রিক’ ফলক লাগানো হয়েছে, এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সচিব অনিল কোনার। অনিলের শঙ্কা, এতে এলাকায় শান্তি বিঘ্নের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ব্রাহ্মধর্মালম্বীদেরও প্রার্থনায় অসুবিধা হবে। বিশ্বভারতী ট্রাস্টের অনুমতি না নিয়ে ফলক বসিয়ে গাজোয়ারি করায় অনেকেই ক্ষুব্ধ। অনিলের অভিযোগ উড়িয়ে বিশ্বভারতীর বক্তব্য, নিপ্পন ভবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজুও আজুমা এবং সৌমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম আছে। বিচিত্রায় তৎকালীন আচার্য জওহরলাল নেহরুর নাম আছে। ভাষাভবনে পরিদর্শক প্রণব মুখোপাধ্যায়ের নাম আছে। এই যুক্তি দেখিয়ে বর্তমান উপাচার্য নরেন্দ্র মোদীকে নেহরুর মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এক পঙক্তিতে বসাতে চাইছেন। যা আদতে হাস্যকর।