বর্ধমান-বীরভূম সড়কপথে যোগাযোগে নির্মিত স্থায়ী সেতু, ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে ২৮ জুলাই। পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমের মধ্যে সড়কপথে আরও একটি স্থায়ী যোগাযোগ ব্যবস্থার সূচনা হতে চলেছে সেদিন

Must read

সংবাদদাতা, কাঁকসা : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে ২৮ জুলাই। পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমের মধ্যে সড়কপথে আরও একটি স্থায়ী যোগাযোগ ব্যবস্থার সূচনা হতে চলেছে সেদিন। কাঁকসার শিবপুর থেকে বীরভূমের জয়দেব কেন্দুলি পর্যন্ত নির্মিত স্থায়ী সেতুটির বীরভূমের সভা থেকে ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিজ উদ্বোধনের আগে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। শনিবার ব্রিজ পরিদর্শন করেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক, কাঁকসার বিডিও পর্ণা দে, গলসির বিধায়ক নেপাল ঘরুই-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক ও কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য। ভবানীবাবু জানিয়েছেন, দুই জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে চলেছে। দীর্ঘদিন কাঁকসার শিবপুর থেকে বীরভূমের জয়দেব কেন্দুলি যাওয়ার জন্য অস্থায়ীভাবে বালিমাটি দিয়ে সেতু নির্মাণ হত যা বর্ষার সময় অজয়ের জলে ভেসে যেত। সেই অস্থায়ী সেতু ভেসে যাওয়ায় দুই জেলার মানুষকেই দুর্ভোগে পড়তে হত। যাতায়াত ব্যবস্থা এক মাসেরও বেশি বন্ধ থাকত। নৌকা পরিষেবা চালু থাকলেও বড় গাড়ি ও বাস পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ থাকত।

আরও পড়ুন-আগুন নিয়ে খেলবেন না, প্রতিরোধ হবে, এসআইআর নিয়ে হুঁশিয়ারি স্ট্যালিনের

এলাকাবাসীর বহুদিনের দাবি ছিল, ওই জায়গায় স্থায়ী সেতু তৈরি হলে দুই জেলার মানুষ উপকৃত হবে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন দুই জেলার মানুষই। অবশেষে মানুষের আবেদনে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। সেইমতো কয়েক বছর ধরে ব্রিজ নির্মাণ শুরু হলেও কাঁকসার শিবপুরের দিকে জমি-জটের কারণে থমকে ছিল কাজ। পরে প্রশাসনিক তৎপরতায় জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জমি সমস্যা কাটিয়ে কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হলেও উদ্বোধন হয়নি কারণ এলাকার মানুষ ও দুই জেলার প্রশাসন চেয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়েই এর উদ্বোধন হোক। অবশেষে উদ্বোধন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় শনিবার ব্রিজ পরিদর্শন করে জেলা প্রশাসন। জানা গিয়েছে বীরভূমের সভামঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী যখন এই সেতুটির ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন সেই সময় ব্রিজের উপর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, গলসির বিধায়ক নেপাল ঘরুই-সহ জেলা প্রশাসন।

Latest article