প্রতিবেদন : চা-বাগান শ্রমিকদের পিএফ নিয়ে একই তিমিরে কেন্দ্র। অবস্থান, প্রতিবাদ করেও কোনও ফল মিলছে না। পিএফ বঞ্চনা অব্যাহতই রয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন পাঁচটি চা-বাগানের শ্রমিকরা দু’বছর ধরে পিএফের টাকা পাচ্ছেন না বলেও উঠল অভিযোগ। জলপাইগুড়ি জেলার নিউ ডুয়ার্স, বানারহাট, কারবালা, চুনাভাটি এবং দার্জিলিং জেলার মিম চা-বাগানের পরিচালন কর্তৃপক্ষ জমা করেনি।
আরও পড়ুন-৬-৭ ঘণ্টা অতিরিক্ত পরিশ্রম রীতিমতো বিধ্বস্ত লোকো-পাইলটরা
শুধু তাই নয়, বাগানকর্মীরা আট মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ। শ্রমিকদের এক মাসের মজুরি বাকি পড়ে রয়েছে। যার ফলে বকেয়ার পরিমাণ ১১ কোটি টাকার বেশি। এর জেরে ৬ হাজার কর্মরত শ্রমিক-সহ প্রায় ১ হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছেন। আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত চা-বাগান শ্রমিক ইউনিয়ন ইতিমধ্যেই এই পিএফের দাবিতে সরব হয়েছে। আরও গুরুতর অভিযোগ হল কেন্দ্রীয় সরকার চা মালিকদের পক্ষ নিয়েছে। বকেয়া পিএফের ওপর মালিকপক্ষকে সুদ দিতে হয়। বর্তমান বিজেপি সরকার এই সুদের হার মালিকদের স্বার্থে একেবারে সামান্য করেছে। বীরপাড়া শাখার প্রধান রাম অবতার শর্মা জানান, আগে চা-শিল্পে কোনওদিন এত বড় সংকট সৃষ্টি হয়নি। চায়ের উৎপাদন প্রায় ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়া চা-শিল্পে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। তাই আর্থিক মন্দার কারণে চা-পরিচালন কর্তৃপক্ষরা শ্রমিকদের প্রাপ্য সময়মতো দিতে
পারছে না। তবে পিএফ দপ্তরের তরফে এই পাঁচটি চা-বাগান কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে বকেয়া শোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।