এভারেস্ট ও লোৎসে শিখর জিতে ফিরে সংবর্ধনায় ভাসলেন পিয়ালি

চন্দননগরবাসী, রোটারি ক্লাব এবং সহৃদয় মানুষরা সাহায্য করলেও কিছু টাকা বাকি থাকায় লোৎসে জয়ের শংসাপত্র পাননি।

Must read

সংবাদদাতা, হুগলি : চন্দননগরের গর্ব এভারেস্টজয়ী পিয়ালি বসাক শনিবার সকালে এভারেস্ট জয় করে বাড়ি ফেরেন। পুর প্রতিনিধি মোহিত নন্দীর নেতৃত্বে শঙ্খ-ব্যান্ড বাজিয়ে শোভাযাত্রা করে তাঁকে বরণ করে নেন শহরবাসী। ৪ মে এভারেস্ট জয় করতে রওনা দেন পিয়ালি। আর্থিক কারণে কঠিন ছিল অভিযান। যাওয়ার সময় খরচের ৩০ লক্ষ টাকা জোগাড় হয়নি। চন্দননগরবাসী, রোটারি ক্লাব এবং সহৃদয় মানুষরা সাহায্য করলেও কিছু টাকা বাকি থাকায় লোৎসে জয়ের শংসাপত্র পাননি।

আরও পড়ুন-বুরা দিনের দেশে এক অন্য কিস্‌সা, লক্ষ্মীলাভের বারোমাস্যা

কষ্টসাধ্য ছিল অভিযান, কারণ বিনা অক্সিজেনে ৮ হাজার মিটার উচ্চে এভারেস্ট শৃঙ্গে ওঠা অত্যন্ত বিপজ্জনক। তা সত্ত্বেও চুড়োয় পৌঁছন। তবে কয়েক মিটার বাকি থাকতে অক্সিজেনের সাহায্য নিতে হয়। তুষারঝড় উপেক্ষা করে ২২ মে এভারেস্ট চূড়ায় সামিট করেন তিনি। ওই সময়ের অন্য অভিযাত্রীরা ফিরে এলেও মনের অদম্য জোর তাঁকে এভারেস্ট জয় করতে সাহায্য করে বলে জানান পিয়ালি। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে তিনি লোৎসে শৃঙ্গও জয় করেন।

আরও পড়ুন-রাজ্যসভায় আবার একশোর নিচে বিজেপি

এই সাফল্যে পিয়ালি তাঁর গুরু অপূর্ব চক্রবর্তী ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘পর্বতারোহণে পদে পদে মৃত্যুর হাতছানি। প্রচুর ট্রেনিং দরকার, প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার। বিশাল আর্থিক সঙ্গতি না থাকলে করা যায় না। ইতিমধ্যে অন্যান্য অভিযান মিলে আমার ৪০ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে দেনা হয়ে গিয়েছে। কী করে শোধ করব সেই চিন্তায় ঘুম নেই।’ মেয়ে বাড়িতে নিরাপদে ফিরে আসায় খুশি মা স্বপ্না জানান, ‘কেন্দ্র বা রাজ্য যদি সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলে বাংলার অনেকে, বিশেষ করে মেয়েরা রোমাঞ্চকর অভিযানে অংশ নিতে পারবে।’

Latest article