প্রতিবেদন: অবশেষে দোষ স্বীকার করল সোনম। স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের ঘটনায় তার সরাসরি যুক্ত থাকার কথা বুধবার তদন্তকারীদের জেরায় স্বীকার করে নিল স্ত্রী সোনম। বুধবার সকালে তার প্রেমিক রাজের সঙ্গে মুখোমুখি জেরায় কান্নায় ভেঙে পড়ে সোনম। ৪২টি সিসিটিভি ফুটেজ-সহ হত্যাকাণ্ডের একাধিক প্রমাণ সামনে আনতেই সে কবুল করে, মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা আমারই। পুলিশের দাবি অন্তত সেটাই। শুধু তাই নয়, মেঘালয়ে হনিমুন স্পটে ভাড়াটে খুনিরা যদি শেষপর্যন্ত রাজাকে খুন করতে না পারে, তাহলে বিকল্প পথে কীভাবে স্বামীকে কীভাবে খুন করা হবে, তারও নিখুঁত পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছিল সে। কী সেই ছক? সেলফি তোলার নাম করে স্বামী রাজাকে নিয়ে যাবে পাহাড়ের খাদের কিনারায়। তারপরে আচমকাই তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে সোনম। সিটের জেরার মুখে ভেঙে পড়ে নিজের মুখে এই ছকের কথা বলে ফেলেছে সোনম।
আরও পড়ুন-শীর্ষে কেরল, দেশজুড়ে বাড়ছে কোভিডের দাপট, মোদির কাছে পৌঁছানোর শর্ত টেস্ট-রিপোর্ট
তদন্তে উঠে এসেছে, বিয়ের পর ১৫ মে বাপের বাড়িতে এসে ৪ দিনের মধ্যে খুনের পরিকল্পনা করে সে। তার প্রেমিক রাজ এবং তার ৩ বন্ধুকে একটি ক্যাফেতে ডেকে নিয়ে খুনের ব্লুপ্রিন্ট সাজিয়েছিল সোনম। শুধু সোনম নয়, ধৃতরা প্রত্যেকেই স্বীকার করেছে রাজা খুনের ঘটনায় সরাসরি যোগের কথা। কিন্তু জেরার মুখে সোনম যা যা জানিয়েছে, তাতে সত্যিই স্তম্ভিত শিলংয়ের পুলিশ আধিকারিকরা। একটা বিষয় রীতিমতো ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তা হল রাজার উদ্ধার হওয়া মোবাইলে বেশ কয়েকটি ১০ টাকার নোটের নম্বর মিলেছে। এর নেপথ্যে বিশেষ কোনও রহস্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিলং পুলিশের মতে, সোনমের মোবাইল উদ্ধার হলেই অনাবৃত হবে আরও অনেক রহস্য।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, বিয়ের পরে সোনম রাজকে ছুঁতে পর্যন্ত দেয়নি। এর জন্য অদ্ভুত একটা গল্প সাজিয়েছিল সে। বলেছিল, মানত আছে তার। কামাখ্যাদেবীর দর্শন না করে দু’জনে ঘনিষ্ঠ হবে না তারা। নববিবাহিতা স্ত্রীকে সরল মনে বিশ্বাস করে সেই কথা মেনে নিয়েছিলেন রাজ।