প্রতিবেদন : কেন্দ্রের অনুমতির অপেক্ষায় আটকে রয়েছে পূর্ব কলকাতা জলাভূমি রক্ষার পরিকল্পনা। জীব বৈচিত্রের আঁতুড়ঘর ওই জলাভূমি সংরক্ষণের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একটি সুসংহত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০২৬ সালের মধ্যে তা বাস্তবায়িত করার কথা। কিন্তু রাজ্য সরকার নিজেদের ভাগের অর্থ দিয়ে দিলেও কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ এখনও মেলেনি। ফলে আটকে রয়েছে জলাভূমি সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ। সম্প্রতি ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালে রাজ্যের জমা পড়া হলফনামায় জানা যাচ্ছে, রাজ্য এই প্রকল্পের জন্য মোট খরচের ৪০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করে বিষয়টি কেন্দ্রের পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে হলে কেন্দ্রকে দিতে হবে বাকি ৬০ শতাংশ টাকা। যা এখনও মেলেনি। বিধাননগর পুরসভা গ্রিন ট্রাইব্যুনালে জানিয়েছে, মোল্লার ভেড়িতে পুরোদমেই বায়ো-মাইনিং চলছে। অন্তত ৭৫ হাজার মেট্রিক টন আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ করা হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে তা শেষ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ওই ভেড়ি ঘিরে প্রায় ১ হাজার ৫৫০ মিটার শক্তপোক্ত বেড়া দেওয়া হয়েছে। বেঞ্চ চায়, আগামী দু’মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হোক। কলকাতা পুরসভার হলফনামা অনুযায়ী, জলাভূমি এলাকায় অল্প কিছু বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, জলাভূমি বোজানোর হদিশও মিলেছে। যার একটির আয়তন ৬৪ হাজার ৫৩৬ বর্গমিটার। যা পুনরুদ্ধার করতে হলে সম্ভাব্য খরচ ২ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা। বুজিয়ে ফেলা আরও একটি জলাভূমি পুনরুদ্ধারে সম্ভাব্য খরচ হবে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। গোটা জলাভূমিকে চিহ্নিত করার জন্য পিলার লাগানো জরুরি।
আরও পড়ুন-৬ মাস পর আজ সকাল থেকে রাজ্য জুড়ে স্বাভাবিক হল লোকাল ট্রেন পরিষেবা