সংকট বাড়াচ্ছে প্লাস্টিক দূষণ

পেট্রো-রাসায়নিক শিল্পের একটি উপজাত সামগ্রী হল প্লাস্টিক। এর কারণে দূষিত হচ্ছে মাটি, জল, বায়ু। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। কমে যাচ্ছে পৃথিবীর প্রাণ-প্রজাতির বৈচিত্র। শরীরে থাবা বসাচ্ছে নানারকম জটিল রোগ। এগুলো যাতে আর না ঘটে, তার জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো দরকার। ৫ জুন, এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আয়োজিত হয়েছে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান। লিখলেন অংশুমান চক্রবর্তী

Must read

ভুলের খেসারত
দূষণমুক্ত রাখতে হবে পৃথিবীর পরিবেশ। তার জন্য আমাদের সদা সচেষ্ট থাকতে হবে। তবে একটা শ্রেণির মানুষ নানাভাবে ছন্দপতন ঘটাচ্ছেন। দূষিত করছেন পৃথিবীর স্থলভাগ এবং জলভাগ। তাঁদের ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে অন্যদের। যাঁরা ভুল করেন, অনেক সময় হয়তো তাঁরা না জেনেই ভুল করেন। তাঁদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ৫ জুন পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এবারেও হয়েছে। একটা নির্দিষ্ট থিমকে সামনে রেখে। এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আয়োজিত হয়েছে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান, সভা। কোরিয়া প্রজাতন্ত্র বিশ্বব্যাপী এই উদযাপনের আয়োজন করেছে। দেশটি প্লাস্টিক বর্জ্য মোকাবিলায় নেতৃত্বদানকারী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। ২৮ বছর ধরে জল ও বায়ুর মান উন্নত করা, রাসায়নিকের নিরাপদ ব্যবস্থাপনা করা এবং বাস্তুতন্ত্র রক্ষা ও পুনরুদ্ধারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। ২০২৫-এর পরিবেশ দিবসে কেন নির্বাচন করা হল এই থিম? কীভাবে পরিবেশ দূষিত করে প্লাস্টিক? কী কী ক্ষতিসাধন করে? সবকিছুই জানতে হবে।
বিশ্ব জুড়ে কদর
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক, প্লাস্টিক কী? প্লাস্টিক হল পেট্রো-রাসায়নিক শিল্পের একটি উপজাত সামগ্রী। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, এর উৎপাদন ব্যয় অনেক কম এবং এর জল প্রতিরোধক ক্ষমতা অনেক বেশি। এই চরিত্রের জন্যই গোটা বিশ্ব জুড়ে প্লাস্টিকের কদর। কিন্তু, পরিবেশ ও জীবজগতের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক ভয়ঙ্কর সমস্যা সৃষ্টি করে। কারণ, প্লাস্টিকের দ্রব্য তৈরি করতে ‘বিপিএ’ বা বিসফেনল-এ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এই রাসায়নিকটি খুব সহজে নষ্ট করা যায় না। এটা পচনের মতো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবেশে মিশে যেতে পারে না। আবার ক্ষুদ্র আকারে প্লাস্টিক খাবারের সঙ্গে মিশে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং নানারকম রোগের সৃষ্টি করে। এ ছাড়া, প্লাস্টিকের কারণে মাটি, জল, বায়ুও দূষিত হয়। বর্ষায় শহরাঞ্চলে জল জমার অন্যতম প্রধান কারণ প্লাস্টিক। প্লাস্টিকের ব্যাগ, বোতল শহরাঞ্চলে নিকাশি নালাগুলিতে জমা হয়ে নিকাশি ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে দেয়।
প্লাস্টিক বর্জনের ডাক
সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যান বলছে, আমাদের দেশে প্রতি-দিন প্রায় ২৬ হাজার টন প্লাস্টিকের বর্জ্য উৎপন্ন হয়। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিকের প্রায় ৪৬ শতাংশ সংগ্রহ করা হয় না। ভারতের মোট প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি উৎপাদিত হয় শুধু দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মতো বড় মহানগরীতেই। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর গোটা বিশ্বে প্রায় এক কোটি তিরিশ লক্ষ টন প্লাস্টিক সমুদ্রে মিশছে। যা সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে গোটা বিশ্বের বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, বিভিন্ন দেশে প্লাস্টিক দ্রব্যের ব্যবহার কমানোর জন্য পদক্ষেপ করেছে। যেমন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে ২০২১ সালের মধ্যে, চিনে ২০২৫ সালের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
জীবের বৈচিত্র হ্রাস পায়
জার্মানির গবেষকরা প্রমাণ করেছেন সমুদ্রের থেকে প্রায় ২৩ গুণ বেশি প্লাস্টিক দূষণ ঘটে মৃত্তিকা বাস্তুতন্ত্রে। প্লাস্টিক দূষণের ফলে মাটির কেঁচো, লার্ভা, মাইট ও খুদে জীবের বৈচিত্র হ্রাস পায়। প্লাস্টিকে থাকা ক্লোরিন বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করে মাটিকে দূষিত করে। মাটির ভেতর দিয়ে ভূগর্ভস্থ জলের সঙ্গে মিশে যায়। ভূগর্ভস্থ জলের মাধ্যমে এই বিষাক্ত পদার্থ আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। চাষাবাদের ফলে মাটিতে মেশা প্লাস্টিকের বিষাক্ত উপাদান উদ্ভিদে প্রবেশ করে এবং তা খাদ্যের মাধ্যমে প্রাণী ও মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।
মাটিতে থাকা সিউডোমোনাস, নাইলন খাদক ও ফ্লাভো ব্যাক্টেরিয়া নাইলোনেজ এনজাইম ক্ষরণের মাধ্যমে প্লাস্টিক অণু ভেঙে দেয় এবং এর ফলে প্রচুর মিথেন গ্যাস উৎপন্ন হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্যও দায়ী। পৃথিবীর বড় বড় শহরগুলোয় প্লাস্টিক-সহ কঠিন বর্জ্য মূলত স্তূপ করে নিম্ন-জলাভূমি এলাকা ভরাট করে ফেলা হয়। শহরের চারপাশে নিম্ন-আয়ের মানুষের বসতি এলাকা ও নতুনভাবে বর্জ্য ফেলে ভরাট করা জায়গাগুলোতে প্রাকৃতিক মাটি নেই। প্লাস্টিক মেশা জৈবিকভাবে মৃত এইসব মাটিতে হচ্ছে না বীজের অঙ্কুরোদগম।
হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে
প্লাস্টিক দু’ভাবে জলসংকট তৈরি করে। পলিথিন-প্লাস্টিক সরাসরি খাল-নালা-নদী-জলাভূমির প্রবাহ আটকে ফেলে এবং জলাবদ্ধতা তৈরি করে। প্লাস্টিকের স্তূপ জলজ জীবের খাদ্য উৎস এবং বাসস্থানকে বিনষ্ট করে। মাইক্রোপ্লাস্টিক জলে মিশে নষ্ট করে জলের গুণাগুণ এবং জলের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য। নদীদূষণ ও দখলের অন্যতম কারণ প্লাস্টিক বর্জ্য। দেখা যায়, নদীর তীর ও পাড়ে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলে জায়গা ভরাট করে শেষ পর্যন্ত নদীর এলাকা নানাভাবে বেদখল করা হয়। আবার প্লাস্টিক-সহ কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য এবং নদীতে ফেলা প্লাস্টিক নদীর প্রাণকে হত্যা করে।
ওয়াটার ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, কাপড় ধোয়ার মেশিন থেকে সাত লাখ মাইক্রোপ্লাস্টিক পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, একবার সিনথেটিক
জ্যাকেট ধোয়ার ফলে ১.৭ গ্রাম মাইক্রোফাইবার জলে মিশে যায়। প্লাস্টিক বর্জ্য নদীর মতো প্রবাহগুলোকে দূষিত করে সমুদ্রের পরিবেশকেও বিনষ্ট করে। ২০১৯ সালের এক হিসাবে দেখা যায়, সমুদ্রের জলে ১.৫ ট্রিলিয়ন মাইক্রোফাইবার মিশে আছে। প্লাস্টিক দূষণ আজ সমুদ্র এবং সামুদ্রিক প্রাণীর জীবনের জন্য এক বিশাল হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঢুকে পড়েছে খাদ্যশৃঙ্খলে
প্লাস্টিক দূষণের কারণে উদ্ভিদের শেকড়ের বৃদ্ধি ও পুষ্টিচক্র ব্যাহত হয়। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ‘অ্যাসেসমেন্ট অব এগ্রিকালচারাল প্লাস্টিকস অ্যান্ড দেয়ার সাসটেইনবিলিটি ২০২১’ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে উদ্ভিদ ও প্রাণিজাত খাদ্য উৎপাদন করতে গিয়ে ১২.৫ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয় এবং পরবর্তী সময়ে খাদ্য প্যাকেজিংয়ের কাজে ব্যবহৃত হয় আরও ৩৭.৩ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক। সবুজ বিপ্লব পরবর্তী রাসায়নিক কৃষির সার-বিষ-প্যাকেটজাত বীজের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকমাত্রায় প্লাস্টিক দূষণ ঘটছে। বিশেষ করে বোরো ও রবি মরশুমে প্রতিটি কৃষি জমির চারধারে এবং ডোবা-জলার পাশে বালাইনাশক ও হাইব্রিড বীজের প্লাস্টিক প্যাকেট ও বোতলের স্তূপ দেখা যায়। এসব যারা সংগ্রহ করে, বিষয়টি তাদের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
প্লাস্টিক কণা ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে আজ আমাদের খাদ্যশৃঙ্খলে ঢুকে পড়েছে। শস্য, মাংস, মাছ, সর্বত্র মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন করতে হলে কৃষিকে প্লাস্টিক দূষণমুক্ত করতে হবে। এ ব্যাপারে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও নিরাপদ খাদ্য আইনকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
রুদ্ধ হয় বংশবিস্তার
প্লাস্টিক দূষণের কারণে কমছে পৃথিবীর প্রাণ-প্রজাতির বৈচিত্র। প্লাস্টিক বর্জ্য খেয়ে প্রায় ৩৪ ভাগ সামুদ্রিক কচ্ছপের মৃত্যু ঘটে। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৭ লাখ ৩০ হাজার টন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহৃত হয়; কিন্তু ব্যবহারের পর এসব প্লাস্টিক ব্যাগ পুনর্ব্যবহার না করে নিম্নাঞ্চল ভরাট ও সমুদ্রে বর্জ্য হিসেবে ফেলা হয়। পৃথিবীর ১০ ভাগের এক ভাগ অক্সিজেন উৎপাদনকারী সামুদ্রিক অণুজীব প্লাস্টিক দূষণের কারণে হয় ক্ষতির সম্মুখীন। বিজ্ঞানীরা ৮৬ ভাগ সামুদ্রিক কচ্ছপ, ৪৪ ভাগ সামুদ্রিক পাখি এবং ৪৩ ভাগ সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে প্লাস্টিক বর্জ্য ও কণার উপস্থিতি পেয়েছেন। কচ্ছপ সাধারণত জেলিফিশ খেয়ে বাঁচে, সমুদ্রে ভাসমান প্লাস্টিক ব্যাগকে তারা ভুল করে জেলিফিশ হিসেবে খেয়ে ফেলে। এভাবে তাদের পাকস্থলী বন্ধ হয়ে যায় এবং একসময় এরা মারা যায় এবং রুদ্ধ হয় বংশবিস্তার। বহু সামুদ্রিক পাখি সমুদ্রে ভাসমান প্লাস্টিক টুকরোকে মাছ ভেবে ভুল করে খেয়ে ধীরে ধীরে মারা যায়।
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ স্বাস্থ্যসংকট
প্রতি সেকেন্ডে উন্নয়নশীল দেশে দ্বিতল ট্রাকের সমপরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ানো বা স্তূপ করা হয়। প্লাস্টিক বর্জ্য এবং দূষণ ডায়েরিয়ার প্রকোপ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়।
প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস মাছ। জল থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক সবচেয়ে বেশি প্রবেশ করে মাছের ভেতর। মাছ থেকে মানুষের ভেতর অনায়াসে প্রবেশ করে মাইক্রোপ্লাস্টিক। নুন এবং চিনির মধ্যেও পাওয়া যায় মাইক্রোপ্লাস্টিক। ২০২২ সালে প্রকাশিত তিনটি গবেষণায় মানুষের গর্ভফুল, মায়ের দুধ কিংবা রক্তেও মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। ইতালির পলিটেকনিকা দেল মারচে বিশ্ববিদ্যালয় একটি গবেষণায় সদ্য প্রসূতি মায়ের বুকের দুধ এবং গর্ভফুলে মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত করেন। ডাচ ন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কমনসিসের গবেষণায় মানুষের রক্তেও মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত হয়। ক্যানসার, হরমোনজনিত সমস্যা, থাইরয়েড, হৃদরোগ, প্রজনন সমস্যা, ব্যথা, বাত এবং নানাবিধ স্বাস্থ্যসংকট বাড়ছে প্লাস্টিক দূষণের কারণে। ওষুধ শিল্প ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত সামগ্রীর ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ স্বাস্থ্যসংকট তৈরি করে। কঠিন প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ানোর মাধ্যমে বায়ুদূষণ বাড়ে। প্লাস্টিক বর্জ্যের কারণে প্রচুর মিথেন গ্যাস নির্গমন হওয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াতে নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। এমনকী এর মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে অতি ক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা।
আমরা যেন প্লাস্টিকের মধ্যে ডুবে আছি। যখন এটা কমানো এবং পুনর্ব্যবহার করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করি, তখন বড় প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের জীবনে টন টন প্লাস্টিক ঢেলে এড়ানো অসম্ভব করে তোলে। প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার সর্বোত্তম উপায় হল প্রথমেই অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক উৎপাদনের পরিমাণ কমাতে হবে। এই বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে। প্লাস্টিকের বোতলের বদলে স্টিল অথবা তামার জলের বোতল ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়িতে গরম খাবার প্লাস্টিকের বাসনে না খাওয়াই ভাল। আবার প্লাস্টিকের ব্যাগের পরিবর্তে পাটের বা কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করা যায়। স্থলে এবং জলে যত্রতত্র প্লাস্টিকের বর্জ্য ফেলা চলবে না। এগুলো মেনে চললে দূষণমুক্ত হবে পরিবেশ। তার জন্য বাড়াতে হবে সচেতনতা।

Latest article