প্রধানমন্ত্রীর বারাণসীতে পুলিশের কীর্তি, থানার মধ্যে অমানবিক অত্যাচারের শিকার ছাত্র

শুধু যোগীরাজ্য বললে কম বলা হবে,খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্রের সঙ্কটমোচন থানায় এক ছাত্রের উপরে উন্মত্তের মতো অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ।

Must read

প্রতিবেদন: যোগীরাজ্যে পুলিশের অত্যাচার যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে তার প্রমাণ মিলল বারাণসীর একটি থানায়। শুধু যোগীরাজ্য বললে কম বলা হবে,খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী কেন্দ্রের সঙ্কটমোচন থানায় এক ছাত্রের উপরে উন্মত্তের মতো অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। চুলের মুঠি ধরে লাঠি দিয়ে সেই বেদম মারের দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রেহাই পাননি ওই ছাত্রের সঙ্গীও। পুলিশের মার খেয়ে বারবার আর্তনাদ করে উঠছিলেন তরুণ ছাত্রটি। তাঁকে রক্ষা করার জন্য ঈশ্বরের নাম করে আর্তি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু এতটুকু নরম হতে দেখা যায়নি প্রহারকারী পুলিশকে। বরং আরও বেড়ে যায় অত্যাচারের মাত্রা। মনে করিয়ে দিচ্ছিল হিন্দি ছবি ‘সিংহম’-এর কথা। দিন দশেক আগের ঘটনা। অত্যাচারের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তোলপাড় পড়ে যায় যোগীরাজ্য জুড়ে। প্রশ্ন উঠেছে, থানার মধ্যে কাউকে এভাবে মারধরের অধিকার আছে কি পুলিশের? যদি কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকে, তার জন্য রয়েছে আদালত। কিন্তু এমন নৃশংস অত্যাচার কেন?

আরও পড়ুন-রেকর্ড নিয়ে ভাবি না : কোহলি

এই ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে যোগীরাজ্যের গেরুয়া পুলিশের বিরুদ্ধে। অবিলম্বে দোষী পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে সাধারণ মানুষ এবং বিরোধীদের পক্ষ থেকে। জনরোষের চাপে পড়ে শেষপর্যন্ত অভিযুক্ত অফিসারকে প্রথমে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। তারপরে সাসপেন্ডও করা হয়। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিতেও বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের নাম নবীন চতুর্বেদী। আউটপোস্ট ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সাকেতনগর হস্টেলের আবাসিক ২ ছাত্রকে একটি মারপিটের ঘটনায় আটক করেছিল পুলিশ। তাঁদের শনাক্ত করার জন্য বিপক্ষের ২ যুবকও হাজির ছিলেন থানায়। আচমকাই দু-পক্ষের মধ্যে ব্যাপক কথাকাটি শুরু হয়ে যায়। তাতেই মেজাজ হারিয়ে এক ছাত্রের উপরে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার।

Latest article