কাউকে জেলে পাঠানো নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পিএমএলএ নয়

Must read

প্রতিবেদন: কোনও ব্যক্তির কারাবাস নিশ্চিত করতে বেআইনি অর্থপাচার মামলাকে যেন হাতিয়ার করা না হয়। ছত্তিশগড়ের একটি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়ে এই মন্তব্য করল দেশের শীর্ষ আদালত। ছত্তিশগড়ের মদ কেলেঙ্কারিতে অবৈধ আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর অধীনে ভারতীয় টেলিযোগাযোগ পরিষেবা কর্মকর্তা অরুণকুমার ত্রিপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণের আদেশ হাইকোর্ট বাতিল করার পরেও ইডি তাকে আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। এই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি এএস ওকা এবং উজ্জ্বল ভূইঞার বেঞ্চ অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, পিএমএলএ-এর (PMLA) ধারণা এই নয় যে একজন ব্যক্তিকে জেলে রাখতেই হবে। ইডির পদক্ষেপ যেন অভিসন্ধিমূলক না হয়।

আরও পড়ুন- জনবহুল মিউনিখে গাড়ি হামলা, আহত ৩০

প্রসঙ্গত, অরুণকুমার ত্রিপাঠীকে ২০২৪ সালের ৮ অগাস্ট গ্রেফতার করেছিল ইডি। কিন্তু ছত্তিশগড় হাইকোর্ট ২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি বিচারের জন্য কোনও অনুমোদন পাওয়া যায়নি এই কারণ দেখিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে বিশেষ আদালতের আদেশ বাতিল করে। হাইকোর্ট তার সিদ্ধান্তটি ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর বিচারপতি ওকার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে নেয়, যেখানে বলা হয়েছিল যে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭(১) ধারার অধীনে সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ গ্রহণের আগে বাধ্যতামূলক সরকারি অনুমোদন পিএমএলএ-র মামলাগুলিতেও প্রযোজ্য হবে। ইডির পদক্ষেপ নিয়ে বিচারপতি ওকা অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজুকে জিজ্ঞাসা করেন, যদি অভিযোগ গ্রহণের আদেশ বাতিল হয়ে যায়, তাহলে অভিযুক্তকে জেলে রাখার প্রয়োজন কী? রাজু বলেন, অভিযোগ গ্রহণের আদেশ বাতিল হওয়া গ্রেফতারিকে অবৈধ করে না। তিনি জানান, সম্প্রতি অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে এবং সংস্থাটি আবার অভিযোগ গ্রহণের জন্য আবেদন করেছে। বিচারপতি ওকা ইডির উদ্দেশে তখন বলেন, বেআইনি অর্থপাচার সংক্রান্ত পিএমএলএ-র ধারণা এই নয় যে একজন ব্যক্তিকে জেলে রাখতেই হবে। আমি স্পষ্টভাবে বলছি, বেশ কয়েকটি মামলা দেখে ৪৯৮এ ধারায় (যা একজন বিবাহিত মহিলার বিরুদ্ধে তাঁর স্বামী বা আত্মীয়ের নিষ্ঠুরতাকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করে) মামলাগুলিতে কীভাবে আইনের অপব্যবহার হয়েছিল তা দেখা গিয়েছে। যদি ইডির এই পদ্ধতি হয় যে অভিযোগ গ্রহণ বাতিল হওয়ার পরেও কোনওভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জেলে রাখতে হবে, তাহলে তাকে কী বলা যেতে পারে? শেষপর্যন্ত শীর্ষ আদালত তার আদেশে বলেছে যে এই পদ্ধতিতে আটক রাখা চালিয়ে যাওয়া যাবে না এবং বিশেষ আদালত এখন পরীক্ষা করবে যে সরকারি অনুমোদন বৈধ কি না।

Latest article