‘জাগোবাংলা’য় (Jago Bangla) শুরু হয়েছে নতুন সিরিজ— ‘দিনের কবিতা’ (poem of the day)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কবিতাবিতান থেকে একেকদিন এক-একটি কবিতা নির্বাচন করে ছাপা হবে দিনের কবিতা। সমকালীন দিনে যার জন্ম, চিরদিনের জন্য যার যাত্রা, তা-ই আমাদের দিনের কবিতা।
আরও পড়ুন- প্রয়াত রতন টাটা, শোকজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর
জঙ্গলসুন্দরী
ঝাড়গ্রাম থেকে লোধাশুলি
দিয়ে গেলাম অরণ্যে অঞ্জলি
শাল পিয়ালের ফাঁকেফাঁকে
কত বুলবুলি উঁকি ঝুঁকি আঁকে
বেলপাহাড়ি লোধাশুলি ঝাড়গ্রাম
দেখে গেলাম কত জীবনের সংগ্রাম
রাস্তা জুড়ে মানুষের গণ উত্থান
শান্তির ললিত বাণীর জয়গান।
এটাই চেয়েছিল জঙ্গলমহল
এটাই সবার ধামসা মাদল।
শান্তির পথে মানুষ থাকুক
জঙ্গলসুনদরী স্বস্তিতে থাকুক।
বেলপাহাড়ি থেকে বাঁশপাহাড়ি
চড়াই উতরাই পেরিয়ে চলছে গাড়ি।
রুক্ষ মাটিতে জঙ্গলগাছ
গরমে তপ্ত দগ্ধ সাজ।
কেন্দুপাতারা মাথা তুলে
দাঁড়িয়ে সারা জঙ্গল জুড়ে।
বনই যাদের সংসার,
আর জঙ্গল যাদের ঘর।
ধামসা মাদল আর চিৎকারে
ঝুমুর মাটির স্বর।
মাজুগড়া বেলপাহাড়ি
মাটির বাড়ি সারি সারি,
জামতলগড়া সেতু পেরিয়ে
পলাশ ফুলকে মনে রেখে দিয়ে
জঙ্গল রহস্যের কিনারা ভেদ করে
চলেছে গাড়ি আপন পথ ধরে।
খুঁজে পেলাম এক গরমের পাহাড়
বাঁকুড়া পুরুলিয়া ঝাড়খণ্ডের বর্ডার।
ঝিলিমিলি মুকুটমণিপুর,
ঝাড়গ্রাম থেকে নয়কো বেশি দূর।
কংসাবতী ও শিলাবতীর মেলায়
রাঙামাটি মিশেছে সুন্দরী মোহনায়।
ধামসা মাদল ঝুমুর গানে
রাস্তা চলেছে নব অভিযানে
ট্রেকিং আর রক ক্লাইম্বিং
এ সব পাহাড়ের বড় চারমিং
ছৌ নাচের তালে তালে
শঙ্খধ্বনি বাজছে ঘরে,
আজানের ধ্বনি মনে মনে
সম্প্রীতির টান ঘরি ডুংরিতে,
বেলপাহাড়ি থেকে বাঁশপাহাড়ি
জঙ্গলমহল আমার বড় সুন্দরী।