‘জাগোবাংলা’য় (Jago Bangla) শুরু হয়েছে নতুন সিরিজ— ‘দিনের কবিতা’ (poem of the day)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কবিতাবিতান থেকে একেকদিন এক-একটি কবিতা নির্বাচন করে ছাপা হবে দিনের কবিতা। সমকালীন দিনে যার জন্ম, চিরদিনের জন্য যার যাত্রা, তা-ই আমাদের দিনের কবিতা।
আরও পড়ুন-যাত্রার মঞ্চেও মমতাস্পর্শ
ক্লীবলিঙ্গ
ছোটবেলায় পড়েছিলাম তিনটে লিঙ্গের
কথা ব্যাকরণে, ক্লীবলিঙ্গ, পুংলিঙ্গ আর
স্ত্রীলিঙ্গ।
এখন কিন্তু পুংলিঙ্গ বা স্ত্রীলিঙ্গ নয়
দাম বেশি কার জানেন
ক্লীবলিঙ্গের! কেন এমন হল
তার কারণ অনেকে পুরুষ হয়েও আজ
সবচেয়ে বড় কাপুরুষ।
মেরুদণ্ডটা যার সোজা, সে তো মেরুদণ্ডটা
সোজা করে রাখার চেষ্টা করবে
কিন্তু মেরুদণ্ডটা যার থেকেও নেই অর্থাৎ
চোখের সামনে সব দেখেও যেন দেখতে পায় না
কানে কিছু ভেসে আসলে নাকি শুনতে পায় না
কারণ কানের ভেতরে এক ধরনের সূক্ষ্ম
তুলো দিয়ে রাখলে সব আওয়াজ
কানে পৌঁছয় না। বাকশক্তি থাকলেও
মাঝে মাঝে নূতন পরিপাটি
দাঁত বাঁধানোর ফলে মুখটা
একটু বুঝে-সুজে নাড়তে হয় নাহলে
পরিপাটি দাঁতগুলোর নাকি ক্ষতি হতে
পারে। শুনেছেন ‘বোবা আর কালার’ কোনো
শত্রু নেই।
থাকবে কি বাকহীন কথা বলতে পারে না
আর যার কর্ণগোচরে শব্দ প্রবেশ করে না সে
শুনতেও পায় না। তাই আসল ‘বোবা বা কালা’
নয়। ‘ক্লীবলিঙ্গের’ বেশধারী কিছু কাপুরুষের
দল যাদের মেরুদণ্ড সোজা করবার ক্ষমতা নেই
তারা নাকি আজ সবচেয়ে ‘সুপুরুষ’ মানে
সর্বগুণে গুণা আর সর্বঘটের কাঁঠালি কলা।
দেখতে সব একদম কার্তিক ঠাকুরের মতো।
চেহারায় দারুণ জৌলুস।
ভাষা? হ্যাঁ, হাই-ফাই হাইপার
বুদ্ধিমান, সব ক্ষমতায় বলিয়ান কিন্তু ভয়ে
পলায়মান—কে কত আগে পালাবে
কারণ ক্লীবলিঙ্গ কি না? মেরুদণ্ড
সোজা করবেন এনারা কোন দুঃখে?
কারণ মেরুদণ্ডটাকেও মাঝে মাঝে
ইস্তিরি করা জামা কাপড়ের
মতো ‘সাবান’ দিয়ে ধুয়ে, ইস্তিরি
করতে হয় কি না? তাই ক্লীবলিঙ্গই
নাকি ‘বর্তমানে’ শ্রেষ্ঠ লিঙ্গ যার
কোন ঝামেলা নেই, ঝক্কি নেই
আছে শুধু ক্ষমতার পরিপাটি
আর নতুন ব্যাকরণের ভাষায়
হয়তো কবে শুনবো এর নাম
দূরদৃষ্টি ক্লীবলিঙ্গের
যথাযথ সৃষ্টি।