জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কালীঘাটের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনরত ডাক্তারদের প্রতিনিধি দলকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শেষ হলে মঙ্গলবার বিকেল চারটের পর কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং অন্য দুই স্বাস্থ্যকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু চারটের বেশ কিছুটা আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনার হিসেবে মনোজ ভার্মার নাম ঘোষণা করা হল। একই বিজ্ঞপ্তিতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তাকে। তাঁর বদলে ওই পদে এলেন দীপক সরকার। তিনি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার পূর্বাঞ্চল ছিলেন। অভিষেক গুপ্তাকে ইএফআর সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার পদে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত পুলিশে আর কিছু রদবদল করা হয়েছে এদিন। নতুন এ ডি জি (আইনশৃঙ্খলা) হলেন জাভেদ শামীম। তিনি এডিজি আইবি পদে দায়িত্বে ছিলেন। এই পদের দায়িত্ব জ্ঞানবন্ত সিংকে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন: শুধুই অজুহাত! শরতেই শীতের একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা রেলের
একই সঙ্গে স্বাস্থ্য ভবন থেকে বদলি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস হালদারকে। এত দিন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা পদে থাকা দেবাশিসকে বদলি করা হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের স্পেশাল অফিসার অন ডিউটি পদে। স্বাস্থ্য অধিকর্তার পদে থাকা কৌস্তভ নায়েক ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা হচ্ছেন। রাজ্যের নতুন স্বাস্থ্য অধিকর্তা হচ্ছেন স্বপন সোরেন। যদিও এদিন নতুন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার নাম এদিন ঘোষণা করা হয়নি। আগামী দিনে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার আরজি কর ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক করেছে জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের ৫ দফা দাবির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ এবং দুই স্বাস্থ্যকর্তাকেও সরিয়ে দেওয়া। সোমবারই বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সরকার ডাক্তারদের দাবিতে রাজি হয়েছে এবং এঁদের সকলকেই সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরেই নির্দেশিকা জারি করে দিল রাজ্য সরকার।