চন্দন মুখোপাধ্যায়, কাটোয়া: কাটোয়ায় বাস দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর পরই সক্রিয় প্রশাসন। বহু যাত্রীই অবৈধভাবে বাসের ছাদে চেপে যাতায়াত করে। বাস দুর্ঘটনায় পড়লে সবচেয়ে আগে বিপদে পড়ে তারাই। এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে সোমবার থেকেই সক্রিয় পুলিশ (Katwa Accident- Police)। বাসের ছাদে ওঠার সিঁড়ি কাটা শুরু করল। রবিবার বিকেলে বীরভূম-কাটোয়া রাজ্য সড়কের কাটোয়ার ন’নগর গ্রামের কাছে বাস উল্টে মৃত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গিয়েছে। নাম মৃত্যুঞ্জয় সরকার (৪৬)। গুড়বিক্রেতা। ছাদে চেপে কাটোয়া ফিরছিলেন। বাড়ি কাটোয়ার চর-বিকিহাট। মৃত্যুঞ্জয়ের ভাইপো অসীম জানান, ‘কাকা বাড়ি না ফেরায় সোমবার সকালে কাটোয়া হাসপাতাল গিয়ে কাকার দেহ দেখতে পাই।’ বাসের সামনের চাকার স্প্রিংপাত্তি ভেঙে উল্টে যাওয়ায় প্রায় ৪০ জন যাত্রী জখম হন। তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তরুণ দাস (৩৫) নামে কাটোয়ার ভুলকুড়ি গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার (Katwa Accident- Police) পুনরাবৃত্তি রুখতে সোমবার সকাল থেকেই তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। বাসের ছাদে ওঠার সিঁড়ি কেটে দিতে থাকে। সঙ্গে বাসগুলি চলার উপযোগী কিনা, তা ভালোভাবে পরীক্ষা করে তবেই বাস চালাতে হবে বলে বাসকর্মী ও মালিকদের সচেতন করল পুলিশ। নির্দেশ না মানলে জরিমানা ও বাসের পারমিট বাতিলের হুঁশিয়ারিও দিল পুলিশ।