আক্রান্ত পুলিশ, অশালীন মন্তব্য, হামলা পার্টি অফিসে, বিচারের দাবিতে নজিরবিহীন অসভ্যতা গদ্দারের নেতৃত্বে

নজিরবিহীন। বিচার চাই বলে পথে নামা হয়েছিল। কিন্তু শনিবারের দুপুরের রাজপথ সাক্ষী রইল বাংলার বিরোধী দল বিজেপির সীমাহীন রাজনৈতিক অসভ্যতার।

Must read

প্রতিবেদন : নজিরবিহীন। বিচার চাই বলে পথে নামা হয়েছিল। কিন্তু শনিবারের দুপুরের রাজপথ সাক্ষী রইল বাংলার বিরোধী দল বিজেপির সীমাহীন রাজনৈতিক অসভ্যতার। হতাশায় মুখ্যমন্ত্রীকে কু-কথা এবং নগরপালকে সেই ভাষা বলল গদ্দার, যে ভাষা সিপিএম নেত্রীর মুখে শোনা গিয়েছিল। বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে বিজেপি কেন খাপ খাওয়াতে পারে না, ছাব্বিশের ভোটের আগে ঠিকঠাক বুঝে নিয়েছেন মানুষ।

আরও পড়ুন-স্বাধীনতার গল্প শুনি

নবান্ন থেকে তিন কিলোমিটার দূরে পুলিশি ঘেরাটোপে আটকে যাওয়ার পর বিজেপি বুঝেছে খবরে থাকতে হবে। ঘটনা ঘটাতে হবে। নইলে মানুষ মনে রাখবে না। পুলিশি ব্যারিকেডে হাতে গোনা শ’পাঁচেক সমর্থক আটকে গিয়েছে। করণীয় কী? গদ্দার অধিকারী যে রাজনীতিতে বিশ্বাস করে সেই রাজনীতি চাক্ষুষ দেখলেন বাঙালি। প্রথমে দল বেঁধে পুলিশকে হামলা। মাথা ফাটল পুলিশ কর্মীর। অন্য জনের চোখ ক্ষত-বিক্ষত। অশালীন আচরণ ও কথা বলতে লোক পাঠানো হল গণমঞ্চের অনুষ্ঠানের সামনে। পথচলতি মানুষ দেখলেন এবং বুঝলেন অসভ্যতা কতরকমের হয়! যখন কিছুতেই দাগ ফেলা যাচ্ছে না, তখন বিজেপির গুন্ডা বাহিনী চৌরঙ্গি রোডের গায়ে হকার ইউনিয়নের অফিসে ঢুকে পড়ল। ভাঙচুর, তছনছ। ফালাফালা করা হল নেতা-নেত্রীর ছবি। প্রশ্ন, কেন এই আচরণ? আসলে ডাহা ফেল নবান্ন চলো অভিযান। নবান্নর তিন কিলোমিটার দূরে বসে যে বিজেপির হাতে গোনা দু’জন নেতা-নেত্রীকে ফ্লাইওভারের ছায়ায় বসে শুধু ‘বাইট’ দিয়ে যেতে হবে এটা তারা স্বপ্নেও ভাবেনি। জনবল, লোকবল, জনসমর্থন না থাকলে আন্দোলনের চেহারা ঠিক কি রকম হয় তার প্রমাণ দিয়ে গেল বিজেপির এই নবান্ন চলো অভিযান। আর একটি বিষয় বুঝিয়ে দিল বিজেপিতে গদ্দার বাহিনী এখন একা। রাজ্য সভাপতি নেই। প্রাক্তন দুই রাজ্য সভাপতিও নেই। এছাড়ও ছোট-বড় কোনও নেতাকে ডাইনে-বাঁয়ে দেখা গেল না। এমনকি বিধানসভায় যেসব বিজেপি বিধায়ক গদ্দারের পাশে ছবি তোলার জন্য চেঁচিয়ে বেড়ান, তারাও ভোকাট্টা। একা গদ্দার। পাশে ফ্যাশন ডিজাইনার। এই রাজনৈতিক একাকীত্বই বাংলায় গদ্দার এবং বিজেপির ভবিষ্যৎ।

Latest article