প্রতিবেদন : অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের প্রতারণার অভিযোগে এবার পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার পুলিশ বেশ কিছু ট্রাভেল এজেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করল পা়ঞ্জাব ও হরিয়ানা পুলিশ। এই অভিবাসীদের তিনদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
অভিবাসীদের অনেকেরই অভিযোগ, ট্রাভেল এজেন্টদের প্রতারণার শিকার হয়েছেন তাঁরা। অন্য দেশে প্রবেশের জন্য অবৈধ এবং ঝুঁকিপূর্ণ পথ ‘ডানকি’ রুট দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়েছিল। পানামার জঙ্গলে দুর্গমপথে হাঁটতেও তাঁদের বাধ্য করা হয়েছিল। তবে অভিযুক্ত অনেক ট্রেভেল এজেন্টই এখন ফেরার।
আরও পড়ুন-ফিডের টুর্নামেন্টে আর খেলবেন না কার্লসেন
গত বুধবার মার্কিন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্বাসিত ১০৪ জন ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে ছিলেন অমৃতসর জেলার রাজাসাঁসির কাছে সালেমপুরা গ্রামের বাসিন্দা দালের সিং। তাঁরই অভিযোগের ভিত্তিতে পাঞ্জাব পুলিশ অমৃতসর জেলার একজন ট্রাভেল এজেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই এজেন্টই অবৈধভাবে একজনকে পাঠিয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। অমৃতসর গ্রামের ভিন্ডি সাইদান থানা এলাকার কোটলি খেহরা গ্রামের বাসিন্দা সাতনাম সিং মানানের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এবং পাঞ্জাব ট্রাভেল প্রফেশনালস রেগুলেশন অ্যাক্ট, ২০১৪ এর ধারা ৩১৮(৪) এর অধীনে মামলা করা হয়েছে। দালের সিং পুলিশের কাছে বলেছেন, ২০২৩ সালে, আমার আত্মীয় গুরসেবক সিং আমাকে একজন ট্রাভেল এজেন্ট সাতনাম সিংয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং আমাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর জন্য ৬০ লক্ষ টাকার একটি চুক্তি হয়। আমি সতনাম সিংয়ের অ্যাকাউন্টে ৫ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছিলাম এবং তাঁকে আমার পাসপোর্ট দিয়েছিলাম। তিনি একটি নাইজেরিয়ান ভিসার ব্যবস্থা করেছিলেন, কিন্তু আমাকে ফিরে আসতে হয়েছিল কারণ আমি আর ভিসা পাইনি। গত বছরের ১৫ আগস্ট তিনি আমাকে দুবাই পাঠান, সেখানে আমি প্রায় ছয়-সাত দিন ছিলাম। এরপর আমাকে ব্রাজিলে পাঠানো হয়। ২৬শে আগস্ট, আমার স্ত্রী চরণজিৎ কৌর এবং শ্যালক গুরসেবক সিং সতনাম সিংকে ১৫ লাখ টাকা নগদ দিয়েছেন। কয়েকদিন পর, আমার স্ত্রী সিং-এর অ্যাকাউন্টে আরও ৬ লাখ টাকা ট্রান্সফার করেন। ১ জানুয়ারি, আমার স্ত্রী এবং শ্যালক তাকে ৩৪ লাখ টাকা দিয়েছিলেন যাতে আমি মেক্সিকো থেকে মার্কিন সীমান্ত অতিক্রম করেছি।তবে, চুক্তি অনুসারে, আমাকে আইনগতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর কথা ছিল, কিন্তু আমাকে ‘ডানকি’ পথ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জানুয়ারি মার্কিন কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে পানামার জঙ্গলে বেআইনি পথ পাড়ি দেওয়ার মতো কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত পলাতক এবং তার সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে তার দোকানটি পুলিশ সিল করে দিয়েছে।