প্রতিবেদন : বিজেপিশাসিত রাজ্যে কতটা বেপরোয়া, নির্মম এবং অমানবিক হয়ে উঠেছে গেরুয়া-পুলিশ তার প্রমাণ মিলল আবার। একমাসের শিশুকে পায়ে পিষে মারতেও পুলিশের মধ্যে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠা দেখা গেল না ডবল ইঞ্জিন রাজস্থানে! পুলিশের অকল্পনীয় নৃশংস আচরণ দেখে স্তম্ভিত রাজস্থানের আলোয়ার। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়, এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় ২ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে ৪ দিন পরেও কোনও আইনি পদক্ষেপ করেনি বিজেপির পুলিশ। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা তো দূরের কথা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসন কি তাহলে আড়াল করার চেষ্টা করছে অপরাধীদের?
মিথ্যে অপরাধে সংখ্যালঘু নির্যাতন বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে নতুন নয়। রক্ষকের ভূমিকা নয়, শাসক বিজেপির হুকুম তামিল করতে ভক্ষকের ভূমিকাতেই বেশি সক্রিয় হয়ে উঠছে পুলিশ। এবার সেই পুলিশের হাতে এক মাসের শিশু-হত্যার অভিযোগে উত্তাল রাজস্থান।
আরও পড়ুন-যাদবপুর ইস্যুতে বিচারপতির মন্তব্য, পাল্টা যুক্তি দিয়ে জোরালো সওয়াল কল্যাণের
আলোয়ারের নওগাওয়ান থানা এলাকায় সাইবার অপরাধের অভিযোগে ইমরান খান নামে এক দিনমজুরের বাড়িতে তল্লাশি করতে যায় স্থানীয় থানার পুলিশ। ভোর ৬টায় তল্লাশি করতে এসে ইমরান ও তার স্ত্রী রজিদা খানকে টেনে বাড়ির বাইরে বের করে দেয় পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময় কোনও মহিলা পুলিশ ছাড়াই ঘরে ঢোকে পুলিশ ও রজিদার গায়ে হাত দেয়। সেই সময় একমাসের শিশুকন্যা ইমরানের স্ত্রীর সঙ্গে খাটিয়ায় ঘুমোচ্ছিল। শিশুর মা তাকে ঘর থেকে বের করে আনতে গেলে পুলিশ শিশুর মাথায় পা দিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-পেরেক মেরে মহিলাকে খুন!
পুলিশ বেরিয়ে গেলে শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয় আলোয়ারের পুলিশ সুপারের বাড়িতে। পুলিশের খাতায় অভিযুক্ত ইমরানের বাড়ি তল্লাশি করেও কিছু পায়নি পুলিশ। তারপরেও এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ রাজস্থানের বিজেপি সরকার। তদন্ত চলার আশ্বাস দিলেও দুই হেড কনস্টেবল ও তিন কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় পুলিশ। এই হল বিজেপির পুলিশ।