এবার ত্রিপুরায় আইপ্যাকের টিমের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে মামলা রুজু করল আগরতলা সদর পুলিশ। ইতিমধ্যেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের ২৩ সদস্যকে উডল্যান্ড পার্ক হোটেলে গিয়ে সমন দিয়ে এসেছে। প্রত্যেককে আলাদাভাবে থানায় তলব করা হয়েছে আগামী ১ অগাস্ট। তাঁদের ত্রিপুরায় জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। করোনাকালে কেন দলবেঁধে ত্রিপুরায় এসেছেন? কী কাজ আছে তাঁদের ইত্যাদি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন-তিন দিন বাকি অবসরের, দিল্লির পুলিশ কমিশনার হলেন সেই রাকেশ আস্থানা
আপাতত হোটেলেই “গৃহবন্দি” থাকতে হবে আইপ্যাকের সদস্যদের। ফলে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বাংলা থেকে ত্রিপুরা যাওয়া তৃণমূলের তিন সদস্য ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় আটক থাকা আইপ্যাকের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
আরও পড়ুন-মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অবিজেপি দলগুলির ইস্যুভিত্তিক জোটের সলতে পাকাতে মমতা-সোনিয়া বৈঠক আজ
এ বিষয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত রাজ্য সভাপতি আশিসলাল সিং কড়া প্ৰতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “গণতান্ত্রিক দেশে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কেউ আসতেই পারেন। এদের সকলের কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ। আসলে ত্রিপুরায় বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ভয় পেয়েছে বিজেপি। তেইশের নির্বাচনে হার নিশ্চিত বুঝে পুলিশ দিয়ে গণতন্ত্রকে ভূলণ্ঠিত করছে বিপ্লব দেবের বিজেপি সরকার।” আইপ্যাকের সদস্যদের অন্যায়ভাবে আটকে রাখার নিন্দায় সরব হয়েছে ত্রিপুরা সিপিএম-সহ বাম দলগুলিও।