প্রতিবেদন : প্রতিবাদ এবং অবরোধের নামে রাম-বাম হাতে হাত মিলিয়ে বৃহস্পতিবার চরম গুন্ডামি চালাল বিকাশ ভবনে। বিকাশ ভবনের গেট ভাঙা হল। বেরোনোর সমস্ত পথ আটকে দেওয়া হল। পুলিশ ব্যবস্থা নিতে গেলে আক্রমণ করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল। পুরুষদের হাতে লাঞ্ছিত হলেন মহিলা পুলিশকর্মীরা। বিকাশ ভবনের (Bikash Bhawan) কর্মীদের বেরোতে না দিতে পথ বন্ধ করে দেওয়া হল। এই ব্যারিকেড ভেঙে বেরোতে না পেরে এক পড়ুয়া মরিয়া হয়ে বিকাশ ভবনের কার্নিস থেকে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে। আর এক পুলিশকর্মীও ঝাঁপ দেন। দু’জনেরই পরিবারের জন্য ওষুধ পৌঁছনোর গুরুদায়িত্ব ছিল। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনে চাকরিহারাদের নাম নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, তা ছিল রাম-বামের পরিকল্পিত গুন্ডামি।
প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই অবরোধ? কেন এই ঘেরাও? খাতায়-কলমে নাম ছিল যোগ্যদের চাকরি ফেরত দিতে হবে। প্রশ্ন হল, যোগ্যদের চাকরি গিয়েছিল আদালতের নির্দেশে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই রাজ্য সরকার তাঁদের চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে। এমনকী গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মীদের অনুদানও আদালতের আইন মেনে করা হয়েছে। তাহলে আন্দোলন কেন? আন্দোলনের পিছনে বাম-রাম। যাদের মূল লক্ষ্য হল রাজ্যে অরাজকতা তৈরি করা। যখন তারা বুঝে গিয়েছে বারবার আদালতে গিয়েও ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষকের চাকরি খাওয়া গেল না, তখন কখনও এসএসসি অফিসের সামনে, কখনও বিকাশ ভবনের সামনে রাজনৈতিক পিকনিক করা শুরু হয়েছে। সুযোগ পেলেই গুন্ডামি। এদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এক শ্রেণির মিডিয়া। কারও পা কেটে গেলেও লিখেছে, রক্তাক্ত বিকাশ ভবন (Bikash Bhawan)। অথচ পুলিশকর্মীর মাথা ফেটে যাওয়া, মহিলা পুলিশকর্মীর মুখে ফেটে রক্ত বেরোনোর ছবি নেই। বাড়ির অসুস্থ মা এবং মেয়ের জন্য ওষুধ নিতে যাবেন বলে বাইরে থেকে এসে আটকা পড়ে যাওয়া পড়ুয়া কিংবা পুলিশকর্মীকেও রেয়াত করেনি আন্দোলনকারীরা। বাধ্য হয়ে দু’জনকেই কার্নিস থেকে ঝাঁপ দিতে হয়েছে। তাঁরা হাসপাতালে। তাঁদের কথা এক শ্রেণির মিডিয়াতে নেই। যে দাবি নিয়ে আন্দোলন সেই দাবি পূরণ হয়ে যাওয়ার পরেও কেন এই আন্দোলন, প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য জুড়ে। পুলিশ মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের অভিযোগেই সিলমোহর ৭,৮০০ কার্ড বাতিল করল কমিশন