প্রতিবেদন : ৩৬৫ দিন অন্তর আসে এই সন্ধিক্ষণ। পুরনোকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে স্বাগত জানানোর এই সন্ধিক্ষণ আসার আগেই দিনরাত জুড়ে উৎসবের মেজাজে মহানগরী। শুক্রবার বছরের শেষ দিনটিতে মেতে উঠল কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য। সকাল থেকেই সঙ্গ দিল শীতের মিষ্টি রোদ। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে শুরু করে চিড়িয়াখানা কিংবা গঙ্গার পশ্চিমপাড়ে বোটানিক্যাল গার্ডেন— উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। সল্টলেকের নিকোপার্ক, নলবন, নিউটাউনের ইকো পার্কেও নিয়ন্ত্রিত ভিড়। রবীন্দ্রসদনে মুলত সংস্কৃতিপ্রেমীদের আনাগোনা। টিনএজারদের উদ্দীপনা ছিল শপিং মলগুলিকে কেন্দ্র করে। কিন্তু এরই মধ্যে জনতার একটা বড় অংশই কোভিডত্রাস (COVID) থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি। পাশাপাশি চোখে পড়েছে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণও। মাস্ক পরায় অনীহা। তবে কোভিড বিধি যাতে অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয় তারজন্য সচেতনতা অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ড্রোনের মাধমে রাখা হয়েছে কড়া নজর। বৃহস্পতিবার থেকেই ধর্মতলা-নিউমার্কেট এলাকায় যৌথভাবে মাইকিং করেছে পুরসভা এবং পুলিশ। বছরের শেষদিনে ভিক্টোরিয়াতেও মাইকে সতর্ক করা হয়েছে মানুষকে। নিকোপার্ক-সহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তারক্ষীরাই হাতে স্যানিটাইজার দিয়েছেন, দেহের তাপমাত্রা মেপেছেন। সন্ধ্যা নামতেই পার্ক স্ট্রিট এলাকায় নামে জনতার ঢল। হোটেল রেস্তোরাঁয় জায়গা মেলা ভার। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গির্জার ঘণ্টাধ্বনিতে ২০২২-এর
আগমনবার্তা। সমবেত হর্ষধ্বনিতে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। তবে ওমিক্রন তথা করোনার (COVID) বাড়বাড়ন্ত রুখতে পুলিশি নজরদারিও ছিল চোখে পড়ার মতো। মাস্কহীনদের হাতে মাস্ক তুলে দিয়েছেন কর্তব্যরত অফিসাররা। নতুন নগরপাল বিনীত গোয়েলের নির্দেশে প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থাও নিয়েছে পুলিশ। শুধু এই এলাকাতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন ৮ জন ডিসি। কোভিডের বাড়বাড়ন্তের কারণে অনেক ক্লাবেই এবারে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হয়। ক্যালকাটা ক্লাব, বেঙ্গল ক্লাব, সাটার্ডে ক্লাব, রয়্যাল ক্যালকাটা গলফ ক্লাব, টলি ক্লাব–সহ বহু ক্লাব শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দিয়েছে অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: Balurghat Diwas : বালুরঘাট দিবসের স্মৃতিসৌধ গড়ে উঠল