চালকদের আসনে বসিয়ে রিকশা টেনে শ্রদ্ধা জানাল পুলিশ

উল্টোরথে উলটপুরাণ ঘটিয়ে মহানগরের রাজপথে রিকশা টানলেন কলকাতা পুলিশের এএসআই। রিকশায় সওয়ারি করলেন সেই রিকশারই চালককে

Must read

প্রতিবেদন : জীবসেবাই দেবসেবা…। ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলতেন— শিবজ্ঞানে জীবসেবা কর। স্বামীজি ঠাকুরের কথা মেনেই বলেছিলেন— জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। মহাপুরুষদের সেই কথা মেনেই কলকাতা পুলিশের এএসআই উল্টোরথের দিনে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। বুঝিয়ে দিলেন সমগ্র পৃথিবীতে সকলের মানবিক মূল্য সমান। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই ঈশ্বরের অধিষ্ঠান। এএসআই বাপন দাস এমন একটি কাজ করলেন, যা সমাজে নতুন শক্তি, নতুন জীবন ও চেতনার সঞ্চার করবে।

আরও পড়ুন-২৪-ই মাপকাঠি, ফের বলল তৃণমূল

উল্টোরথে উলটপুরাণ ঘটিয়ে মহানগরের রাজপথে রিকশা টানলেন কলকাতা পুলিশের এএসআই। রিকশায় সওয়ারি করলেন সেই রিকশারই চালককে। রিকশা চালকদের তাঁদের রিকশায় বসিয়ে ঘোরালেন বউবাজার এলাকায়। তারপর উপহার হিসেবে তুলে দিলেন গামছা আর মিষ্টির প্যাকেট। রিকশাচালকদের শ্রদ্ধার্ঘ্য দিয়ে, জীবসেবার মাধ্যমেই সকলের স্যালুট আদায় করে নিলেন এএসআই বাপন দাস। উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে থাকেন কলকাতায়। ডানলপের পুলিশ কোয়ার্টারই তাঁর বর্তমান ঠিকানা। বরাবরই ব্যতিক্রমী কাজের জন্যে সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। উল্টোরথের সকালে বউবাজার অঞ্চলের জনাদশেক রিকশাচালককে তাঁদেরই রিকশায় বসিয়ে এলাকায় ঘোরালেন। গামছা ও মিষ্টি উপহার দিলেন। খাইয়ে দিলেন মিষ্টিও। গতবারের উল্টোরথেও একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া জনসেবামূলক কাজের মধ্যে থাকতেই অভ্যস্ত তিনি। ২০১৬ সালেই রেল ব্রিজের আন্ডারপাসে তিনি চালু করেছিলেন ‘মানবতার দেওয়াল’। ব্যানারে লেখা— ‘যাঁদের প্রয়োজন তাঁরা নিয়ে যান’ এবং ‘যাঁদের দেওয়ার তাঁরা দিয়ে যান’। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত অগণিত দরিদ্র মানুষ নিজেদের মতো করে বেছে বেছে শীতের বস্ত্র নিয়ে যান সেখান থেকে। এই কর্মধারা বজায় রেখে শিবজ্ঞানে জীবসেবাকেই তিনি ধর্ম মেনেছেন।

Latest article