প্রতিবেদন: যোগীরাজ্যে ঠিক কতটা নীচে নেমেছে পুলিশ এবং পৌঁছেছে অপদার্থতার কোন পর্যায়ে, তা প্রমাণিত হল আরও একবার। একেই ধর্ষকদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠছে এই রাজ্য তার উপরে পুলিশের নির্লজ্জ ভূমিকা ক্রমশই অত্যন্ত আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের। ধর্ষকের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা না করে উলটে সেই ধর্ষকের সঙ্গেই বিয়ের জন্য নির্যাতিতার উপরে চাপ দিচ্ছে পুলিশ। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হল যোগীরাজ্য। গত বছরের ১০ মার্চ থেকে ১৯ বছরের এক তরুণীকে দিনের পর দিন ধরে ধর্ষণ করে সাজিদ আলি নামে গ্রামেরই বছর ৩৫এর এক বিবাহিত ব্যক্তি।
আরও পড়ুন- মাকে খুঁজে না পেয়ে মনের দুঃখে স্পেনেই ফিরে গেলেন স্নেহা
নির্যাতিতা পুলিশের কাছে অভিযোগ করবেন বলে জানালে ধর্ষক আপত্তিকর ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখায়। তরুণী থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা তো নেয়ইনি, উলটে অভিযুক্তকে বিয়ে করার জন্যই চাপ দেয় নির্যাতিতার উপরে। ইতিমধ্যে গর্ভবতী হয়ে পড়েন নির্যাতিতা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের ভাদোহিতে, কোতোয়ালি থানা এলাকায়। ন্যক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। এক্স হ্যান্ডেলে দলের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে, বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্য মানেই ধর্ষকদের জঙ্গল রাজ! আর সেই ধর্ষকদের বাঁচাতে সদা তৎপর প্রশাসন!
উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ ধর্ষকের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা না করে, উল্টে পাশবিক অত্যাচারের শিকার মহিলাকে অভিযুক্ত ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে করতে চাপ দিচ্ছে।
আরও পড়ুন-আতঙ্ক ছড়াবেন না, নয়া ভাইরাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী
এতদিন ধরে বিজেপি নেতারা ‘নারী সুরক্ষা’ নিয়ে চিৎকার করছেন। যখন মহিলারাই সুরক্ষিত নয়, নরপিশাচের দল যখন নিত্যদিন অত্যাচার চালাচ্ছে মহিলাদের ওপর, যখন উত্তরপ্রদেশ পুলিশ যৌন অপরাধের ঘটনায় সক্রিয় সহায়ক, তখন যোগীজির কোনও নৈতিক অধিকারই নেই চেয়ারে আঁকড়ে বসে থাকার। লজ্জা থাকলে পদত্যাগ করুন।
লক্ষণীয়, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করতে বাধ্য হওয়ার পরে নির্যাতিতা জানতে পারেন অভিযুক্ত বিবাহিত। আগেই বিয়ে হয়েছে তার। শেষপর্যন্ত তার বিরুদ্ধে গত ৩ জানুয়ারি আবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।