প্রতিবেদন : ফরাক্কা গণধর্ষণ-কাণ্ডে অপরাধীদের দ্রুত ফাঁসি ও যাবজ্জীবন হয়েছে। রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) এই উল্লেখযোগ্য কাজকে কুর্নিশ জানিয়ে তাদের সংবর্ধনা দিল গোটা গ্রাম। সঙ্গে হল মিষ্টিমুখও। শুক্রবার সন্ধ্যায় ফরাক্কার এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান, আইসি নীলোৎপল মিশ্র-সহ ফরাক্কা থানার পুলিশ-প্রশাসনের পুরো টিমকে গ্রামবাসীরা সংবর্ধনা জানান। ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মাননাও জানানো হয় পুলিশের কর্মীদের। মাত্র দু মাসের মধ্যে ধর্ষণ ও খুন-কাণ্ডে অপরাধীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা-সহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজার ব্যবস্থা করানোয় তদন্তকারী টিমকে শুভেচ্ছার বন্যায় ভরিয়ে দিয়েছেন সকলে। একই অবস্থা জয়নগরের নির্যাতিতার পরিবার ও তাঁর গ্রামবাসীদেরও। ফরাক্কার ঘটনা শুনে তাঁরাও পুলিশকে ধন্য ধন্য করেছেন। কেননা তাঁদের ঘরের মেয়েও চলে গিয়েছে, কিন্তু যে দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করে চার্জশিট দিয়ে দু মাসের মধ্যে সাজার ব্যবস্থা করেছে পুলিশের টিম তাকে অসাধারণ বললে কম বলা হয়। তাই ফরাক্কার ঘটনা শোনার পর জয়নগরের নির্যাতার পরিবারও চোখের জল ফেলে বলছে যাক আরও একটা পরিবার আমাদের মতো বিচার পেল। অপরাধীদের শাস্তি হল। তারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কারণ, তিনি এ-ঘটনার পরে বলেছিলেন যত দ্রুত সম্ভব সাজার ব্যবস্থা করবে পুলিশ। জয়নগরের নির্যাতিতার বাবা মন্টু নস্কর ও মা তপতি নস্করের বক্তব্য, দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে রাজ্য সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ওর যেন তাড়াতাড়ি ফাঁসিটা হয়। আর আমি অনুরোধ করব সর্বোচ্চ আদালতে বিচার যেন একই থাকে। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর সময় ফরাক্কায় নারকীয় ঘটনায় খুনের মামলায় অভিযুক্ত দীনবন্ধু হালদার ও শুভ হালদারের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন জানিয়ে চার্জশিট পেশ করা হয় ফরাক্কা থানার পুলিশের (West Bengal Police) পক্ষ থেকে। চার্জশিটের ৫৯ দিনের মাথায় সাক্ষ্যগ্রহণ এবং সমস্ত শুনানি প্রক্রিয়া শেষ করে বৃহস্পতিবার দীনবন্ধু হালদার এবং শুভ হালদারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আজ শুক্রবারই অভিযুক্তদের মধ্যে দীনবন্ধুকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। পাশাপাশি আরেক অভিযুক্ত শুভ হালদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ প্রদান করে জঙ্গিপুর আদালত। জয়নগরের নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনাতেও ৬২ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা হয়েছে অপরাধীর।
আরও পড়ুন-ইউপিএসসিতে জয়জয়কার বাংলার, প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে দুই বঙ্গসন্তান