প্রতিবেদন : রাজ্যের বিরোধী দলনেতার হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যাওয়া কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর জাভেদ আখতারকে (Ex Councillor Javed Akhtar) হন্যে হয়ে খুঁজছে কাঁথির পুলিশ। সৌমেন্দু অধিকারীর খুব কাছের এই প্রাক্তন কাউন্সিলরকে পেলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-সহ বেশ কিছু ঘটনার জট কাটতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। উল্লেখ্য, হিসাববহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে দুর্নীতি দমন আইনে কাঁথির ধর্মদাসবাড়ের বাড়ি থেকে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ বেরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাঙামাটি শ্মশানকাণ্ডেও দিলীপের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় কাঁথি থানায়। ৩০ জুন গ্রেফতার হন তিনি। ১৪ জুলাই জামিন পেলেও ফের দুর্নীতি দমন আইনে পুলিশের জালে ধরা পড়েন। তদন্তে নেমে দিলীপের সম্পত্তির বহর দেখে চমকে যান পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁর ব্যাঙ্ক লকার তল্লাশির জন্য পুলিশকে অনুমতি দিয়েছে আদালত। পুলিশি হেফাজতে থাকার সময়ে দিলীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম জানতে পারে পুলিশ। ইতিমধ্যে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা দিলীপের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা উচ্চ আদালত। সেই মামলারই সাক্ষী অধিকারী-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বিজেপি নেতা জাভেদ আখতারকে (Ex Councillor Javed Akhtar) ২০ অগাস্ট তলব করে কাঁথি থানা। তাঁকে না পেয়ে বাড়ির দরজায় নোটিশ সেঁটে দেয় তারা। পুলিশ তাঁর কলকাতার ফ্ল্যাট এবং ওড়িশায় শ্বশুরবাড়িও যায়। তবে দেখা মেলেনি। উল্লেখ্য, কাঁথির কেন্দ্রস্থল চৌরঙ্গি মোড়ের মার্কেট কমপ্লেক্সে ‘কেয়ার ওয়েল’ নামে প্যাথলজি সেন্টারটির মালিক জাভেদ আখতারের ভাই জিসান আখতার। প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারীর কাছের কাউন্সিলর হিসাবে প্রভাব খাটিয়ে জাভেদ ভাইকে কম পয়সায় ওই জায়গা পাইয়ে দিয়েছেন কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ শংকরপ্রসাদ মাহাত বলেন, “ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী প্যাথলজির লাইসেন্স নির্দিষ্ট সময় অন্তর রিনিউ করাতে হয়। সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় সেটি বন্ধ করে দিয়েছি।”
আরও পড়ুন-বিজেপির ব্যর্থ রিসর্ট পলিটিক্স