প্রতিবেদন: ভাবা যায়, কী প্রচণ্ড বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যোগীরাজ্যের পুলিশ! এই গেরুয়া রাজ্যে দুর্নীতি এমনই গভীরে শেকড় ছড়িয়েছে যে ঘুষের টাকাও পুলিশ লেনদেন করছে অনলাইনে। প্রযুক্তির ভাষায় যাকে বলা যেতে পারে ‘ডিজিটাল ঘুষ’। উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে এমনই এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ তো দূরের কথা, তদন্ত পর্যন্ত শুরু করেনি পুলিশ প্রশাসন। মুখে কুলুপ এঁটেছেন শীর্ষকর্তারা। অভিযোগ, অনলাইনে ঘুষ নিয়েছেন হাতিগাওয়ান থানার ইনচার্জ। শুধু ঘুষ নিয়েই থেমে থাকেননি তিনি, ঘুষের টাকা পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়েছেন অনলাইনেই। ঘুষের টাকার অঙ্ক ২৫ হাজার টাকা। এই লেনদেনের স্ক্রিনশটও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। এরপরেই ছি ছি রব উঠেছে রাজ্যজুড়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গভীর অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে যোগী প্রশাসন।
আরও পড়ুন-ধরনায়-বিক্ষোভে উত্তাল ধর্মতলা চত্বর
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, বিভিন্ন জায়গায় নানা ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তা প্রমাণ করা বেশ কঠিন কাজ কিংবা কার্যত অসম্ভব। সবটাই হয় মূলত নগদে। কিন্তু ঘুষের টাকা আদানপ্রদানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আশ্রয় নিতে গিয়েই বিপাকে পড়ে গেলেন যোগীরাজ্যের থানার বড়বাবু।
যোগীর রাজ্যে পুলিশের ঘুষ কেলেঙ্কারির এখানেই শেষ নয়, লীলাপুর থানার ২ কনস্টেবলের বিরুদ্ধেও মোটা অঙ্কের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ২ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকায়। সামাল দিতে তড়িঘড়ি করে ২ অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দুটি ঘটনায় প্রমাণিত ঢিলেঢালা প্রশাসনের সুযোগ নিয়ে দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে যোগীরাজ্যের পুলিশ।