প্রতিবেদন : কালীপুজো-দীপাবলি উৎসবের মাঝে উসকানি দিয়ে মিথ্যে প্রচার করে ডায়মন্ড হারবারে অশান্তি ছড়ানোর চক্রান্ত রুখে দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে ঘটনার নেপথ্য কাহিনি ও আনুষ্ঠানিকভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ করলেন জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার (Police Super Dhritiman Sarkar)। কোনও অবস্থাতেই যে এই ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তকারীদের বরদাস্ত করবে না প্রশাসন সে-কথাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশ সুপার (Police Super Dhritiman Sarkar)। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ২৪ অক্টোবর দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগর থানার নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুর এলাকাতে মৃৎশিল্পী প্রহ্লাদ সরদারের ওয়ার্কশপে চারটি কালী-প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পাওয়ামাত্রই রামনগর থানার পুলিশ এবং ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে বিশাল বাহিনী নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনেন। তদন্তে নেমে পুলিশ পারিপার্শ্বিক দিক খতিয়ে দেখতে শুরু করে। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পর পুলিশের সন্দেহ হয় খোদ মৃৎশিল্পীর ওপর। এরপর প্রহ্লাদ ও তার সহকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আসল ঘটনা সামনে আসে। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার কিনারা করা হয় এবং প্রহ্লাদ ও তার সহযোগীরা সমস্ত দোষ স্বীকার করে।
আরও পড়ুন-টেট পরীক্ষায় বসা যাবে একাধিকবার: জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, এল গাইডলাইন
তদন্তে জানা গিয়েছে, বায়নাদারেরা কালীমূর্তির গঠনও নিয়ে খুশি ছিলেন না। বায়নার অর্থ ফেরতের চাপ ছিল। সেজন্য প্রহ্লাদ ও তার ভাই প্রতাপ সর্দার এবং পুষ্পেন্দু বেরা মিলে প্রতিমাগুলো নিজেরাই ভেঙে ফেলে। এরপর অন্যভাবে গোটা ঘটনা সাজিয়ে স্থানীয় মানুষজনকে জানায়। ঘটনার সময় তারা সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানা যায়। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, উৎসবের মধ্যে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে তদন্ত করে প্রকৃত সত্যটা সামনে এনেছে। আগামী দিনেও সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। ঘটনায় শিল্পী প্রহ্লাদ-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।