প্রতিবেদন : আন্দোলনরত ডাক্তারদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে বুধবার রাতেই বৈঠকে ডেকেছিলেন মুখ্যসচিব। স্বাস্থ্য ভবনে দীর্ঘ বৈঠকের পরও অনশন চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এদিকে তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। এমতাবস্থায় ফের একবার সহানুভূতি দেখাল রাজ্য। বৃহস্পতিবার হেয়ার স্ট্রিট থানার পক্ষ থেকে চিঠি পাঠিয়ে সাত অনশনকারীকে অনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানাল কলকাতা পুলিশ। এর মধ্যে আবার আরজি করে রক্তমাখা গ্লাভস উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় চক্রান্ত রয়েছে বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম অবিলম্বে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে হেয়ার স্ট্রিট থানার ওসি ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে যান। অনশনরত চিকিৎসকদের হাতে চিঠি তুলে দেন। চিঠিতে আবেদন জানানো হয়েছে, আপনারা গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন করছেন। জোর করে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মঞ্চ বানিয়েছেন। অনশনের ফলে আপনাদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সের সাহায্য আপনারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আমাদের অনুরোধ, আপনারা এই জায়গা ছাড়ুন এবং চিকিৎসার সাহায্য গ্রহণ করুন। সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হবে আপনাদের। এই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র জায়গা ছেড়ে দিতে বলাই লক্ষ্য ছিল পুলিশের। আরজি কর-কাণ্ডের সুবিচার এবং নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। কর্মবিরতির পর এখন অনশন আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে অনিকেত মাহাতোর শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গিয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকের লিভার এবং কিডনিতে ধীরে ধীরে অনশনের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ধরনা মঞ্চে দুটি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা রয়েছে। আরজি কর মেডিক্যালের আইসিইউতেও বিশেষ ব্যবস্থাপনা রাখা হয়েছে। এদিকে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে রক্তমাখা গ্লাভস নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কীভাবে হাসপাতালে রক্তমাখা গ্লাভস এল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই ঘটনায় সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরকে তদন্তের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। হাসপাতালের এক ইন্টার্নের দাবি, চিকিৎসা করার সময় তিনি রক্তমাখা গ্লাভসটি দেখতে পান। প্যাকেটের প্রায় প্রত্যেকটি গ্লাভসই নোংরা ছিল। সকালে ওই গ্লাভসের প্যাকেটটি খোলা হয়। এর মধ্যেও চক্রান্ত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গ্লাভসগুলিকে আলাদা করে সরিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- ডাক্তারই নয়! আদালত জামিন দিল না ধৃতদের