প্রতিবেদন : চালুনির আবার সূঁচের বিচার! ভণ্ডামি যাদের চরিত্রে, তারা আবার রাজনৈতিক নিয়োগ নিয়ে বাংলার জবাব চাইছে।কী বিচিত্র অভিযোগ। একটার পর একটা রাজনৈতিক নিয়োগ করছে নিজেরা। তারপর আবার তারা কোন সাহসে বাংলাকে ‘রাজনৈতিক নিয়োগ’ নিয়ে জবাবদিহি করতে বলে? তৃণমূলের সাফ কথা, যে দল প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের রাজনৈতিক নিয়োগকেন্দ্রে পরিণত করেছে, তারা এখন প্রশ্ন তুলবে। নিজেরা অসততার কাজ করে সততার মুখোশ পরে ঘুরবে। এই হচ্ছে আমাদের দেশের সরকারের অবস্থা।
আরও পড়ুন-বিজেপির ওড়িশায় নিজের বাড়িতেই গণধর্ষিতা নাবালিকা
তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি এবং বিজেপির অতিসক্রিয় নেতাদের একগুচ্ছ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে। প্রশ্ন ছুঁড়ে দলবদলু গদ্দার অধিকারীর দিকে। তৃণমূলের সাফ কথা, ‘লোডশেডিং অধিকারী’ এখন নির্বাচন-নিষ্ঠা নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছেন! মনে হয় ওনার স্মৃতিভ্রংশ হয়েছে। তাই কয়েকটা ঘটনা মনে করিয়ে দেওয়া দরকার।
১) অসমের রাজ্যপাল পদে থাকাকালীন গুলাবচাঁদ কাটারিয়া রাজস্থানে বিজেপির এক নির্বাচনী সভায় যোগ দেন। ২) মধ্যপ্রদেশের সাতনায় ভোটের ঠিক আগে জেলাশাসক ও পুর কমিশনারকে আরএসএসের এক অনুষ্ঠানে দেখা যায়। ৩) কর্নাটকের পঞ্চায়েত অফিসার প্রবীণ কুমার কে.পি., আরএসএসের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে তাদের পোশাক পরে হাজির হন। ৪) এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর কুমার যাদব বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। ৫) বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র আরতি অরুণ সাথেকে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এরপর লোডশেডিং অধিকারীর কোনও কথা বলা উচিত নয়। কথা বলা উচিত নয় এই ‘সততা’র ধ্বজাধারী বিজেপির। দলবদলু লোডশেডিং অধিকারীর যুক্তি যদি ধরা হয়, তাহলে রাষ্ট্রপতির উচিত অবিলম্বে সেই সমস্ত সাংবিধানিক পদ— যেমন রাজ্যপাল বা হাইকোর্টের বিচারপতি, যেগুলো বিজেপির লোকজন দখল করে রেখেছে, সেগুলো খালি করে দেওয়া। আর বাকি ক্ষেত্রগুলোয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও একই কাজ করা উচিত। কিন্তু তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই— কারণ ভণ্ডামিই তো বরাবর বিজেপির চরিত্র।
আরও পড়ুন-মঙ্গলবারেই ল্যান্ডফল ‘মন্থা’র
তাই গদ্দার অধিকারী মহম্মদ আলাউদ্দিন নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের এক বিএলও রাজনৈতিক সত্ত্বা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নির্বাচন কমিশনের সিইওর কাছে আবেদন করেন তাঁকে সরিয়ে দিতে এবং প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের নির্বাচনী নিষ্ঠা নিয়ে। বিএলও হিসেবে নিযুক্ত ব্যক্তি যদি কোনও রাজনৈতিক পদে থেকেও থাকেন, তাহলে বিজেপি যে রাজনৈতিক নিয়োগ করেছে, তার কী যুক্তি দেবে? তাহলে কি তাঁদেরকেও সরানোর দাবি করবেন লোডশেডিং অধিকারী? সে প্রশ্নও থাকল।

