রাজনৈতিক ব্যর্থতাই কুকথার উৎসস্থল

শেষে মেজাজ হারিয়ে কুকথা। তবে এটা তো প্রথমবার নয়, বিরোধী দলনেতা আসলে হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার। অবশ্য এই তালিকায় তিনি একা নন।

Must read

সুবোধ সরকার: রাজনীতির ময়দানে কলকে না পেয়ে, নিতান্ত একাকী হয়ে গিয়ে কুকথার আশ্রয়ে বাংলার বিরোধী দলনেতা। নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে শনিবার কলকাতা পুলিশ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, তাতে ভেস্তে গিয়েছে বিজেপির যাবতীয় পরিকল্পনা। শেষে মেজাজ হারিয়ে কুকথা। তবে এটা তো প্রথমবার নয়, বিরোধী দলনেতা আসলে হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার। অবশ্য এই তালিকায় তিনি একা নন।

আরও পড়ুন-ছাব্বিশে বাংলা বাঙালির লড়াই বললেন সায়নী

দুর্ভাগ্যজনক যে, রাজনীতিকদের মুখের ভাষা আজ এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। নগরপালকে যে ভাষায় গালাগালি করেছেন বিরোধী দলনেতা, সেটা কোনও সুস্থ মানুষই মেনে নিতে পারবেন না। এই কিছুদিন আগেও বাংলায় একটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলে কথা ছিল। এখন এইসব নেতা সেই শিষ্টাচারকে কুলুঙ্গিতে তুলে দিয়েছেন। এসব নিয়ে তাঁরা ভাবেনও না। যাঁরা নিজেদের প্রগতিশীল এবং শিক্ষিত বলে মনে করেন সেই বামেদের নেত্রীর মুখেও একথা শুনে চমকে উঠেছিলাম। বিশ্লেষণ করে বুঝেছি, রাজনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত হতে হতে শূন্যে বিলীয়মান হওয়ার হতাশাতেই দুর্গন্ধযুক্ত ভাষা বেরিয়ে আসছে। এই ধরনের অপভাষা আমাদের মতো সাধারণের কাছে যে বার্তা পৌঁছয় তা খুব একটা ইতিবাচক নয়। এই ধরনের রাজনীতিবিদ সম্পর্কে একটা বিবমিষা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। ব্যক্তিগতভাবে আমি অপভাষার বিরুদ্ধে। কোনও পাবলিক ফিগারের মুখ থেকে যদি তা বের হয় তবে তার অভিঘাত সুদূরপ্রসারী। ভবিষ্যতের জন্য আমরা কী রেখে যাচ্ছি, সেটা আমাদের নিজেদেরকে জিজ্ঞাসা করা উচিত।

Latest article