ভারতে জঙ্গি হামলা নিয়ে যখন সংসদীয় সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের অংশ হিসেবে বিদেশের মাটিতে পাকিস্তানকে নিশান করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই সময়ে বাংলায় এসে শাসকদলকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসেছেন অমিত শাহও। এই পরিস্থিতিতে রবিবার, কুয়ালালামপুরে বিজেপির নাম না করে জাতীয়বাদের পাঠ দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বললেন, “আমার রাজনৈতিক স্বার্থ কখনও দেশের জাতীয় নিরাপত্তার চেয়ে বড় হতে পারে না।“
আরও পড়ুন-রাশিয়ায় সেতু ভেঙে পড়ল চলন্ত ট্রেনের উপর, মৃত ৭, আহত ৭০
দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সৌজন্য দেখানোর পরেও বৃহস্পতিবার বাংলায় এসে শাসকদলকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর তার কিছুক্ষণ পরেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে পাল্টা হুঙ্কার দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, রাজনীতির হোলি খেলতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে এটা শোভা পায় না। সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলে তৃণমূলের তরফে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দেশের হয়ে বিদেশে গলা ফাটাচ্ছেন, তখন প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের কথা কী ভাবে বলেন!
আরও পড়ুন-চারধাম যাত্রার প্রথম মাসে ৭৩ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু ঘিরে কাঠগড়ায় প্রশাসন
এর পরে কুয়ালালামপুরে গিয়ে বিজেপি বা মোদির নাম না করে জাতীয়তাবাদের পাঠে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করি। (কেন্দ্রের) শাসকদলের সঙ্গে আমার মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু এখানে আমি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছি। আমি আমার রাজনৈতিক স্বার্থকে আমার জাতীয় স্বার্থের পথে আসতে দেব না। জাতির সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা রক্ষার ক্ষেত্রে, আমি আমার দেশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াব।“
পরে স্যোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করেও অভিষেক লেখেন, “বর্তমান শাসকদলের সঙ্গে আমার মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু এখানে আমি ভারতের প্রতিনিধি। আমার রাজনৈতিক স্বার্থ কখনও দেশের জাতীয় নিরাপত্তার চেয়ে বড় হতে পারে না। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে, আমি আমার দেশের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াই।”