দেবর্ষি মজুমদার, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীতে বহু বিতর্কিত ঘটনা ঘটিয়েছেন, কিন্তু কোনওদিন তা নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করতে তাঁকে দেখা যায়নি। অথচ হঠাৎ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসঙ্গ টেনে রাজনীতি করতে নেমে পড়লেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যা নিয়ে পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীদের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়লেন তিনি। বিশ্বভারতীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার ভূরি ভূরি অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে আগাগোড়া ছাত্রবিরোধী বলে পরিচিত উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী হঠাৎ আলিয়া-উপাচার্যের সঙ্গে নিজের তুলনা টেনে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেন। তাতে ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একইভাবে শিক্ষক থেকে বিশ্বভারতীর অন্যান্য কর্মচারীরা শিক্ষাঙ্গনে গুন্ডামির শিকার। হেনস্তা হচ্ছেন।
আরও পড়ুন-জনসমুদ্রের কাছে রেখে গেলাম ঠিকানা
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসন যেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তার প্রশংসা করে, বিশ্বভারতীও সেরকম পরিণতি দেখতে চায় বলে মত প্রকাশ করা হয়েছে। যা নিয়ে বিশ্বভারতীর টিএমসিপি ইউনিটের সভানেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন হবেই। কিন্তু উপাচার্য নিজেই তো স্বৈরাচারীর মতো আচরণ করেন। কর্মীদের শোকজের পর শোকজ পাঠিয়ে, সাসপেন্ড করেন। এখন ভিকটিম কার্ড খেলতে চাইছেন।’’ ছাত্র সোমনাথ সৌয়ের প্রশ্ন, উপাচার্য কোনওদিন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেছেন? তিনি ছাত্র আন্দোলনকে আক্রমণ করে পড়ুয়াদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন অথচ তিনিই বেশি ক্ষতি করছেন।