১৯৫৪ সালে প্রথম ওয়াকফ আইন (Waqf rule) পাশ হয়। ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ আইন সংশোধন করে ওয়াকফ বোর্ডের হাতে সবরকম ক্ষমতা দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বোর্ডের অধিকার নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এবার এই বিলে ৪৪টি সংশোধন আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে ওয়াকফ আইনের ধারা ৪০ অনুযায়ী, ওয়াকফ বোর্ডের যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার ছিল। এই কারণে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বহু গরিব সংখ্যালঘুর সম্পত্তি, অন্য ধর্মালম্বীদের ব্যক্তির সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ ওঠে।
আজ, বৃহস্পতিবার লোকসভায় পেশ হল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। আইন সংশোধন নিয়ে যদিও আগেই সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এবার বিল সংশোধন উত্থাপনের বিরুদ্ধে নোটিস দিলেন কংগ্রেস সাংসদ কেসি ভেনুগোপাল এবং হিবি ইডেন। সংসদেও ভিন্ন ধর্মের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করলেন তারা। বৃহস্পতিবার সংসদে ওয়াকফ বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এরপর এটি সংখ্যালঘু মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হবে। এদিন ওয়াকফ প্রসঙ্গ উঠলে সরব হন বিরোধীরা। সকলেই বলেন এটি হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়। বিভাজনের রাজনীতির আগুনে ঘি ঢালতেই এমন এক বিতর্কিত বিল পেশ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মর্মে জানান, ‘এই বিল সংবিধান বিরোধী, গণতান্ত্রিক স্বার্থের পরিপন্থী, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী, বিভেদকামী’।
প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত সংশোধনটি গ্রাহ্য হলে এই আইনের নতুন নাম হবে ‘ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট’। পুরনো আইনটির মধ্যে ৪৪টি সংশোধন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে অন্যান্য সংশোধনগুলির মধ্যে একটি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল ছাড়াও প্রতি রাজ্যে মুসলিম মহিলা এবং অমুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব নিয়েই বোর্ড গঠন করা হবে।