ভোপাল, ৭ মার্চ : ২২ বছর বয়সি ভারতীয় ক্রিকেটার পূজা বস্ত্রকার বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করলেন। তা-ও আবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্নায়ুযুদ্ধের ম্যাচে। পাকিস্তান ম্যাচের আগে পর্যন্ত ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলে পূজার (Pooja Vastrakar) ভূমিকা ছিল মূলত ডান-হাতি পেসারের। রবিবারের পর মধ্যপ্রদেশের ছোট্ট শহর শাদোলের মেয়েটি আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠলেন পেসার-অলরাউন্ডার। পূজাকে (Pooja Vastrakar) ভারতীয় ড্রেসিংরুমে মিতালি, ঝুলনরা ডাকেন ‘ছোটা হার্দিক’ (পান্ডিয়া) নামে।
ছেলেদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেই বেড়ে উঠেছেন পূজা। সেই গল্পই শোনালেন তাঁর ছেলেবেলার কোচ আশুতোষ শ্রীবাস্তব। বললেন, ‘‘২০০৯ সালে পূজাকে প্রথম দেখি ছেলেদের সঙ্গে টেনিস বলে ক্রিকেট খেলতে। দেখলাম, ছোট্ট মেয়েটি ছেলেদের বলেও বড় বড় ছয় মারছে। ওকে আমার অ্যাকাডেমিতে এনে ছেলেদের স্কোয়াডেই রাখলাম। ছেলেদের বল সহজেই খেলত। পূজা ছেলেদের সঙ্গেই অ্যাকাডেমির অনূর্ধ্ব ১৪, ১৬, ১৯ পর্যায়ে খেলেছে। শুরু থেকেই ও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলত। বলত, স্যার আমি কেন বল ছাড়ব। যেখানে বলকে পাঠানোর সেখানে পাঠাব।’’ অথচ, ছোটবেলায় মায়ের আকস্মিক মৃত্যু পূজার জীবনে বড় ট্র্যাজেডি ছিল। কোচের কথায়, ‘‘মা’র মৃত্যু ওদের পরিবারকে খুব ধাক্কা দিয়েছিল। অ্যাকাডেমিতে আসাই বন্ধ করে দিয়েছিল। ওর বাবা, দিদিকে রাজি করিয়ে মাঠে ফেরাই।’’