ব্যাটে পাল্টা জবাব দিচ্ছেন পোপ, পন্থের সেঞ্চুরি

প্রথম দিনটা যদি শুভমন গিল ও যশস্বী জয়সওয়ালের হয় তবে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ছিল ঋষভ পন্থের।

Must read

হেডিংলে, ২১ জুন : প্রথম দিনটা যদি শুভমন গিল ও যশস্বী জয়সওয়ালের হয় তবে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ছিল ঋষভ পন্থের। আরও একবার প্রমাণ করলেন, কেন তিনি আদর্শ টেস্ট ম্যাচ প্লেয়ার। ইংরেজ বোলারদের রীতিমতো শাসন করে সেঞ্চুরি হাঁকালেন ভারতীয় দলের পন্থ। কিন্তু লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা, জসপ্রীত বুমরার আগুনে বোলিং ছাড়া বাকি বোলারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্স এবং ক্যাচ ফেলার খেসারত দিয়ে লিডস টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডকে কোণঠাসা করার সুযোগ হাতছাড়া করল ভারত। ভারতের প্রথম ইনিংসে করা ৪৭১ রানের জবাবে দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ৩ উইকেটে ২০৯। এখনও ২৬২ রানে পিছিয়ে তারা। তিনটি উইকেটই বুমরার। ‘বাজবল’ খেলে অলি পোপ সেঞ্চুরি করে ক্রিজে। শেষ বেলায় জো রুটকে ফিরিয়ে ভারতকে স্বস্তিতে রাখলেন সেই বুমরা।

আরও পড়ুন-মোদি-শাহকে কটাক্ষ কল্যাণের

শোয়েব বশিরের বলে এদিন এক হাতে বিশাল ছক্কা মেরে ১৪৬ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন পন্থ। এরপরই মাঠে সামারসল্ট দিয়ে সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন ডাকাবুকো তারকা। আইপিএলের শেষ ম্যাচে আরসিবি-র বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেও একইভাবে উল্লাস করেছিলেন পন্থ। কমেন্ট্রি বক্সে সুনীল গাভাসকরকেও ‘ডিগবাজি’ খেতে বাধ্য করলেন পন্থ। ‘স্টুপিড, স্টুপিড, স্টুপিড’ বিরক্তি ভুলে সানির মুখে ‘সুপার্ব, সুপার্ব, সুপার্ব’ বন্দনা। ইংল্যান্ডের মাটিতে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি পন্থের, টেস্টে সপ্তম। কোনও ভারতীয় উইকেটকিপারই টেস্টে এতগুলো সেঞ্চুরি করেননি। এখানেও পন্থ পিছনে ফেললেন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে (৬)। পন্থ-আগ্রাসনের পাশে সাপোর্টিং রোলে তখন ক্যাপ্টেন গিল। সেঞ্চুরির পর গিয়ার বদলে আরও বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করেন পন্থ। যদিও এর মধ্যেই ব্যক্তিগত দেড়শোর মাইলফলক স্পর্শের তিন রান আগেই আউট হন গিল (১৪৭)। পন্থের সঙ্গে তাঁর ২০৯ রানের জুটিও ভেঙে যায়। এরপরই জোস টং (৪ উইকেট), বেন স্টোকসের (৪ উইকেট) ধাক্কায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতীয় ব্যাটিং। প্রত্যাবর্তনে ব্যর্থ করুণ নায়ার। কোনও রান না করেই স্টোকসের বলে আউট হন। শেষ সাত উইকেটের পতন মাত্র ৪১ রানে। ৪৩০-৩ থেকে ৪৭১ অলআউট ভারত।

আরও পড়ুন-বাংলায় ধানসেরি গ্রুপের হাজার কোটি লগ্নি

ব্যাট করতে নেমে বুমরার আঘাতে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খেয়েছিল ইংল্যান্ড। জ্যাক ক্রলিকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বুমরা। কিন্তু ইংরেজদের আরও চাপে ফেলার সুযোগ ভারত হাতছাড়া করে বেন ডাকেটের সহজ ক্যাচ রবীন্দ্র জাদেজা ফেলে দেওয়ায়। জীবন ফিরে পেয়ে হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন ডাকেট। ইংল্যান্ডও একশোর গণ্ডি পেরিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ডাকেটকে (৬২) ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু দেন সেই বুমরা। জাদেজার পর বুমরার বলে অলি পোপের ক্যাচ ফেলেন যশস্বী। সেই পোপ (১০০) সেঞ্চুরি করে ক্রিজে। সঙ্গী হ্যারি ব্রুক (০)। রুটকে (২৮) ফেরান বুমরা। কিন্তু বোলিং ও ফিল্ডিং চিন্তায় রাখছে গিলদের।

Latest article