প্রতিবেদন : তরুণী চিকিৎসকের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃতার শরীরের কোনও হাড় ভাঙা নেই। শরীরে ২৫টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে, ফলে ফুসফুসে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। এরকম আরও দু’-একটি পর্যবেক্ষণ রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬টি এক্সটার্নাল এবং ৯টি ইন্টারনাল ইনজুরি আছে। মুখে আঘাতের চিহ্ন। দু’গালে, চোখের নীচে, ডান চোয়ালের নীচে, নাকে ও ঠোঁটের বাঁদিকে বেশ কয়েকটি ছড়ে যাওয়ার দাগ ও কালশিটে, নীচের ঠোঁট ফাটা ও তার নীচে কালশিটে। এছাড়াও মাথায় প্রবল আঘাতের ক্ষত রয়েছে। মাথার খুলিতে বাঁদিকে বিভিন্ন জায়গায় রক্তপাতের স্পষ্ট দাগ। ঘাড়ে মারাত্মক আঘাত। একাধিক জায়গায় পেশি ও ত্বকের নীচে রক্তপাত। গলা ও ঘাড়ে ছড়ে যাওয়া দাগ, গলা ও ঘাড় ঘিরে বৃত্তাকার গাঢ় কালশিটে। ডানদিকের ঘাড়ে কামড়ের দাগ। রক্তপাত হয়েছে থাইরয়েড কার্টিলেজে। এছাড়া কাঁধেও কালশিটে রয়েছে। বাঁ হাতে ও হাঁটুতে অন্তত তিনটি ছড়ে যাওয়ার দাগ। যোনিপথ রক্তাক্ত, কালশিটে, যা মারাত্মক চোট ও ক্ষতের ইঙ্গিত করছে। তবে এতদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভুয়ো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এদিন তা প্রমাণ হয়ে গেল। আগুনের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে পাওয়া গিয়েছে, মৃতার গলার হাড় ভাঙা রয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যে প্রমাণিত হচ্ছে। ধৃত সঞ্জয় রায়ের শরীরে আঁচড়ের যে ক্ষত পাওয়া গিয়েছে তা ধস্তাধস্তির সময় মৃতা বাধা দিতে গিয়েই হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- মিডিয়া কমিটি