সংবাদদাতা, হাওড়া : ২১ জুলাইয়ের ইতিহাসকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হাওড়ায় (Howrah) উদ্যোগী হল তৃণমূল কংগ্রেস। ১৯৯৩ সালের একুশে জুলাইয়ের রক্তঝরা দিনের ঘটনাকে শহিদ দিবসের প্রচারে তুলে ধরা হচ্ছে। হাওড়ার ৪২ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেদিনের রক্তঝরা বিভিন্ন ঘটনার ছবির কোলাজ করে এবং কীভাবে তৎকালীন বাম সরকারের পুলিশ নির্বিচারে মিছিলে আসা মানুষের ওপর লাঠি-গুলি চালিয়েছিল তা ফেস্টুন-ব্যানারে তুলে ধরে একাধিক এলাকায় টাঙানো শুরু করেছেন তৃণমূলের কর্মীরা।
আরও পড়ুন-গণছাঁটাই নিয়ে ট্রাম্পের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট
সেদিন তৎকালীন যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহাকরণ অভিযান কর্মসূচিতে বাম সরকারের নির্দেশে বেপরোয়া লাঠি-গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। ঘটনায় ১৩ জন মারা যান। বহু মানুষ জখম হন। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। জখমও হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই এই দিনটি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শহিদ দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শহিদ দিবস উপলক্ষে এই দিনে ধর্মতলায় সমাবেশ হয়ে আসছে। ৩২ বছর আগের সেদিনের ঘটনার ইতিহাসকে মানুষের সামনে তুলে ধরতেই হাওড়ায় তৃণমূল কর্মীরা ফেস্টুন ও ব্যানারে সেই দিনের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি তুলে প্রচার শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই ডুমুরজলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা-সহ মধ্য হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের ঘটনার ছবি পোস্টার-ব্যানারে টাঙানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-মিজোরামের চাকমা স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদে জারি হল রাজ্যপালের শাসন
মধ্য হাওড়া কেন্দ্র তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পিণ্টু মণ্ডল জানান, বর্তমান প্রজন্মকে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের রক্তঝরা দিনের কথা স্মরণ করাতেই আমাদের এই উদ্যোগ। সমস্ত তৃণমূল কর্মীর কাছে ২১শে জুলাই একটি আবেগ। সেই আবেগ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই আমরা ওই দিনের পুলিশের নির্মম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কীভাবে ঘটেছিল তার ছবি দেওয়া ফেস্টুন-ব্যানারে এবারের শহিদ সমাবেশের প্রচার চালাচ্ছি।
তৃণমূল শহিদ সমাবেশে এই প্রচার এরই মধ্যে নজর কেড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যেও। হাওড়া-সহ গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে একুশে জুলাইয়ের প্রচার। চলছে দেওয়াল লিখন, মিছিল, প্রস্তুতি সভা।