সৌমেন্দু দে, বোলপুর : অবশেষে আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হল। এ বছরেও পৌষমেলা করবে না বিশ্বভারতী। বোলপুর পুরপ্রশাসক পর্ণা ঘোষ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে লিখিত আবেদন করেছিলেন মেলা করার জন্য। এক মাস হয়ে গেলেও বিশ্বভারতী কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। মেলা বন্ধের দায় কার, তা নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন।
আরও পড়ুন-পোস্টার নিয়ে প্রকাশ্যে দিলীপ-হিরণ তরজা
যাবতীয় অভিযোগের তীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দিকে। ২০১৮ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যেভাবে স্বৈরাচার কায়েম করেছেন, তাতে বিশ্বভারতীর ভবিষ্যৎ নিয়েই শঙ্কার মেঘ জমেছে। পৌষমেলার সঙ্গে স্থানীয় হস্তশিল্পী ও ছোট ব্যবসায়ীদের রুজিরোজগার জড়িয়ে। তাঁরাও বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সেই কারণেই প্রশাসনের উদ্যোগে শিবপুর মৌজার গীতবিতান মঞ্চে হবে হস্তশিল্পমেলা। এবং তা হবে পৌষমেলার সময়েই। এলাকা পরিদর্শনের পর জানালেন মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ।
আরও পড়ুন-নিয়ম ভেঙে পদোন্নতি, কাঠগড়ায় বিশ্বভারতী
ক্ষুব্ধ মন্ত্রী জানালেন, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অহঙ্কার ও একনায়কতন্ত্র বিশ্বভারতীর গরিমাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে। চলতি বছরের ২৩ থেকে ২৬ ডিসেম্বর চলবে হস্তশিল্পমেলা। স্থানীয় হস্তশিল্পীদের কাজ তুলে আনতে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাহায্যে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ বলে জানালেন মন্ত্রী। এই উদ্যোগে সকলেই খুশি। বোলপুরের ক্ষুদ্র বাজার এলাকা ঘুরে দেখেন চন্দ্রনাথ। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাও বলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অধ্যাপকের দাবি, উপাচার্য জানিয়েছেন ব্যয়বহুল মেলার খরচ বিশ্বভারতীর পক্ষে চালানো সম্ভব নয়। তাই মেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কায় আশ্রমিক থেকে শুরু করে মেলাপ্রেমীরা। পুর প্রশাসক পর্ণা ঘোষ বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের কথা ভেবে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিয়েছিলাম পৌষমেলা আয়োজনে উদ্যোগ নিতে। কিন্তু বিশ্বভারতী কোনও সদুত্তর দেয়নি।