প্রতিবেদন : নিজের জন্মদিনে মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলার কুনো ন্যাশনাল পার্কে নামিবিয়া থেকে আনা ৮টি চিতা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিশেষ বিমানে নামিবিয়া থেকে আটটি চিতাকে ভারতে আনা হয়েছিল। বিজেপি সরকারের দাবি, এমন পদক্ষেপ এই এলাকার জন্য আশীর্বাদ প্রমাণিত হবে। কিন্তু ওই এলাকার বাস্তবতা বলছে সম্পূর্ণ অন্য কথা। সরকারের ব্যাখ্যা, চিতার আগমনে এলাকায় পর্যটন বাড়বে।
আরও পড়ুন-শারদ-মূর্ছনায় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ
কিন্তু চিতার আওয়াজের আড়ালে এক ‘বেদনাদায়ক সত্য’ চাপা পড়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় অভয়ারণ্যের আশপাশের গ্রামগুলিতে তীব্র অপুষ্টি এবং দারিদ্রের ছাপ। মানুষের কর্মসংস্থান নেই। মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলা ভারতের ইথিওপিয়া নামে পরিচিত। চিতার আগমনে এলাকায় পর্যটনের নামে বড় পরিবর্তন আসবে বলে গণমাধ্যমে ঢাক পেটাচ্ছে সরকার। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, আটটি চিতা দিয়ে সেই পরিবর্তন আসার আশু কোনও সম্ভাবনাই নেই। এই মুহূর্তে শেওপুর জেলায় ২১ হাজারের বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। বিধানসভায় লিখিত জবাবে মধ্যপ্রদেশ সরকার নিজেরাই এই পরিসংখ্যান দিয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে একই জেলায় অপুষ্টিতে এক কন্যাশিশুর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন-স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে আক্ষেপের অষ্টম বর্ষ পালন
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যেখানে কর্মসংস্থান নেই, চরম দারিদ্র আর অপুষ্টির ক্ষত চারদিকে, সেখানে চিতা ছেড়ে হইচই করলে সাধারণ মানুষের কী লাভ? গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আমরা চিতা থেকে কিছুই পাব না। তাদের আগমন আমাদের বর্তমান অবস্থার কোনও উন্নতি করবে না। কুনো জাতীয় উদ্যান যে এলাকায় অবস্থিত, সেখানে প্রায় ২৩টি গ্রাম রয়েছে যারা দারিদ্র ও অপুষ্টিতে ভুগছে। জনসংখ্যা প্রায় ৫৬ হাজার। গ্রামবাসীদের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকারের কোনও হেলদোলই নেই।