প্রয়াত তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস, শোকজ্ঞাপন অভিষেকের

Must read

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস (prasenjit das)। শুক্রবার সকাল ১১টা ২০ নাগাদ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যাকে। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক জানিয়েছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের (prasenjit das) অকাল প্রয়াণে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।”

প্রসেনজিৎ দাসের মৃত্যুর খবরে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন, ছিল ডায়াবেটিস। তিন দিন আগে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমে এবং পরে সেখান থেকে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন- সোনালিকে রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্য নিয়োগ করতে আচার্যকে সুপ্রিম নির্দেশ

প্রয়াত তৃণমূল নেতার রাজনৈতিক সহযোগী তন্ময় সিংহ রায় জানিয়েছেন, বর্ধমান রাজ কলেজে ছাত্র রাজনীতির পর ১৯৮৪ সালে তৎকালীন বর্ধমান জেলা আইএনটিইউসি-র সভাপতি সন্তোষ সাহা শিকদারের হাত ধরে তার সক্রিয় রাজনীতিতে আসা। এরপর যুব আইএনটিইউসি এবং পরে আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি হন। ছিলেন ইনটাকের সর্বভারতীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যও। বর্ধমান শহরের হকারদের একত্রিত করে হকার্স ইউনিয়ন গড়ে বামেদের বিরুদ্ধে জোড়ালো আন্দোলন প্রসেনজিত দাসকে নেতৃত্বের জায়গায় নিয়ে আসে। এরপর কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক এবং ২০২২ সালে প্রথমে জেলার মুখপাত্র এবং পরে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র নির্বাচিত হন। পাশাপাশি অতন্দ্র প্রহরী নামে নিয়মিত একটি পত্রিকাও তিনি সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর এই অকাল প্রয়াণে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসে সাংবাদিক মহলে। এদিন কলকাতা থেকে তাঁর মরদেহ তৃণমূলের জেলা অফিসে নিয়ে আসা হলে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।

Latest article