অমিতকুমার মহলী: তিনি দেখালেন, মনের জেদে গরিব ঘরের ছেলে হয়েও ডব্লুবিসিএস পাশ করা যায়। কৃষিজমি ছিল না, বাবা দিনমজুরি করতেন। মা বাসন মাজতেন লোকের বাড়ি। তীব্র অনটন সত্ত্বেও পড়াশোনা করতেন মনপ্রাণ দিয়ে। আবার বাবার সঙ্গে যেতেন অন্যের জমিতে কাজ করতে। কখনও ধানকাটা, পাটচাষ বা মাটিকাটা। দারিদ্র্যের কাছে হার মানেননি কোচবিহারের প্রশান্ত বর্মন (Prashanta Burman)। মাত্র কুড়ি বছর বয়সেই শিক্ষকতার চাকরি পেয়ে যান। এখানেই থেমে থাকার বান্দা নন। পাখির চোখ ডব্লুবিসিএস। একবার পড়াশোনার ব্যাপারে বিডিও অফিসে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়। ঠিক করেন, একদিন ওই চেয়ারে বসবেন। দেখবেন, কাউকে হতাশ হয়ে যেন ফিরতে না হয়। শুরু হয় আরেক লড়াই। শিক্ষকতার পাশাপাশি ডুবে যান গভীর পড়াশোনায়। কঠোর পরিশ্রমে আসে সাফল্য। ডব্লুবিসিএস পাশ করে বর্তমানে রাজগঞ্জ ব্লকের বিডিও। অফিসে পৌঁছেই গরিব মানুষজনের সমস্যার কথা মন দিয়ে শোনেন। চেষ্টা করেন যাতে সরকারি পরিষেবা থেকে কেউ বঞ্চিত না হন। পড়ুয়াদের সমস্যা সমাধানে বিশেষ নজর দেন। বলেন, রাজ্য সরকার স্বামী বিকেকানন্দ, কন্যাশ্রীর মতো একাধিক স্কলারশিপ দেয়। পড়ুয়াদের খুব কাজে লাগে। ব্যক্তিগতভাবেও দেখি, যাতে কেউ সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত না হয়। অল্প দিনেই গরিবের মসিহা হয়ে উঠেছেন প্রশান্ত (Prashanta Burman)।