যোগীরাজ্যে (Yogi state) বিতর্কিত ঘটনার অন্ত নেই। রয়েছে অত্যাচার, প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা। এবার নজরে প্রয়াগরাজ পুলিশ (Prayagraj Police) । মঙ্গলবার রাতে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে প্রয়াগরাজ পুলিশ। সেই ছাত্রকে শহরের অন্য সম্প্রদায়ের সহকর্মী ছাত্রদের সাথে বিবাদের কারণে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে পালিয়ে আবাসনে ‘বনের রাজা’
খিরি গ্রামে ছাত্রের পরিবার এবং গ্রামবাসীরা ছাত্রের দেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করার দাবি করেছিল। কিন্তু কোন রকম বিক্ষোভে পাত্তা না দিয়েই পুলিশ ছাত্রের দেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। যুক্তি দেখানো হয়, এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় দেখে পুলিশ তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। শেষকৃত্যের সময় ছাত্রের পরিবারের মাত্র কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বাহিনীও ঘাটে মোতায়েন ছিল।
আরও পড়ুন-‘এটাই ইন্ডিয়ার দম’ গ্যাসের দাম কম হতেই নেত্রীর ট্যুইট
প্রসঙ্গত, ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে এই ঘটনা ঘটে। শিক্ষকরা যদিও সমস্যার মীমাংসা করে দেন বলেই জানা যায়। সোমবার নবম শ্রেণির ছাত্রী তার বোনকে নিয়ে স্কুল থেকে ফেরার সময় বোনকে হয়রানির প্রতিবাদ করায় ওই ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা ছাত্রের মরদেহ তাদের হস্তান্তর করার দাবি জানালে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।
আরও পড়ুন-ফাইল ডাউনলোড-কাণ্ডে ক্ষুব্ধ কোর্ট
এই মর্মে, কমিশনার রমেশ শর্মা এবং ডিএম সঞ্জয় খাত্রী পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টায় একটি মাইক্রোফোনের মাধ্যমে ভিড়কে সম্বোধন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালান। পরে ওই ছাত্রের মরদেহ খিরিতে তার বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে দারাগঞ্জ ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তার পরিবারের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিতিতে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। যেকোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।