শান্তনু বেরা, দিঘা : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ আসার আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রামনগরের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষকে শনিবার নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হল। উপকূলবর্তী বিভিন্ন বহুমুখী সাইক্লোন সেন্টারে সেই উপকূলবাসীদের আশ্রয় দেওয়া হয়। রামনগর বিধানসভা এলাকার উপকূলবর্তী আলমপুর, চাঁদপুর, ধলডাঙা, জলধা, জামড়া শ্যামপুর, তালগাছাড়ি, তাজপুর, গঙ্গাধরপুর, সামাইবসান প্রভৃতি গ্রামগুলি থেকে উপকূলবাসীদের সরানো হয়। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানান, “বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে প্রায় সাড়ে চার হাজার উপকূলবাসীর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যে এনডিআরএফ-এর দুটি দল এবং এসডিআরএফ-এর আরও চারটি দল সারা জেলায় কাজ শুরু করেছে। দিঘা, শংকরপুর, মন্দারমণি, তাজপুর পর্যটন কেন্দ্র-সহ উপকূলে সমুদ্রস্নানের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
আরও পড়ুন-নিরাপদ আশ্রয়ে পনেরো হাজার
শনিবার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দিঘার সৈকতের বিভিন্ন ঘাটগুলিকে দড়ি দিয়ে ঘিরে দেয় পুলিশ। এদিন ছিল অমাবস্যা। জোয়ারের সময় সমুদ্র কিছুটা উত্তাল হয়। কোটাল নিয়ে স্বভাবতই চিন্তিত প্রশাসন। তবে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি শনিবার দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি-সহ উপকূলের বেশ কিছু জায়গা পরিদর্শন করেন। কথা বলেন উপকূলবাসীদের সঙ্গে। এদিন দিনভর দিঘায় থেকে তিনি পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখেন। মন্ত্রী বলেন, “ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, আমফানের ক্ষত সারিয়ে বড়দিন ও নববর্ষের আগে দিঘা-সহ উপকূলের পর্যটন কেন্দ্রগুলি যখন নতুন রূপে সেজে উঠছে, সেই সময় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ-এর ঝাপটা উপকূলের পর্যটনশিল্পের ক্ষেত্রে ফের একটি বড় ধাক্কা। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে উপকূলবাসীদের রক্ষা করতে প্রশাসন চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত রয়েছে।”