প্রতিবেদন : এটা কি নির্মম হত্যার বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চাওয়ার লড়াই নাকি কৃত্রিম লড়াইয়ের নামে নতুন করে মৃত্যুমিছিলের সূচনা? এ কেমন প্রতিবাদ, যে প্রতিবাদ মানুষের প্রাণ নেয়? এই প্রশ্ন উঠছে কারণ ন্যায় বিচার চাওয়ার নামে আন্দোলন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বিনা চিকিৎসায় মরতে হচ্ছে নির্দোষ অসহায় রোগীদের। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা যেন তারই জীবন্ত দলিল। আরজি করে ২২ বছরের তরুণের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু, বিজেপির চাক্কা জ্যামের জেরে নদীয়ার ফুলিয়ায় প্রসূতির রাস্তাতেই মৃত্যু, আবার পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে হাসপাতালে যেতে না দিয়ে রাস্তায় হেনস্থা— এই একের পর এক ঘটনার দায় নেবে কে? আন্দোলন শুরু হয়েছিল ন্যায় বিচারের জন্য। অভয়ার দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দেওয়ার দাবিতে। কিন্তু সেই আন্দোলনকেই বিপথে চালিত করে কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের অভিসন্ধি কায়েম করার লক্ষ্যে ছুটে চলেছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁদের একাংশ পরিষেবা দিতে টালবাহানা করছেন। এই অরাজকতার সঙ্গে সমান তালে বাড়ছে রোগী হয়রানি। বিজেপির অবরোধের জেরে একদিকে যেমন নদিয়ায় ওই গর্ভবতী মহিলা ও তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের অকালে মৃত্যু হল তেমনই হেনস্থার শিকার হলেন আরও এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। যে-প্রতিবাদে মানুষের প্রাণ যায়, মানুষের জীবন সংকটে পড়ে সেই প্রতিবাদের মানে কী? তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, চিকিৎসকদের আন্দোলন যুক্তিযুক্ত, কিন্তু পরিষেবা না দিয়ে আন্দোলন দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর প্রশ্ন, ইচ্ছে করে সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা না দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে গরিব রোগীদের, এটা কেন হবে?
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ছাত্রী ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষীর ফাঁসি! সাজা ঘোষণা আদালতের