তৃণমূলে নবজোয়ার যাত্রার অঙ্গ হিসেবে শুক্রবার ৪ দিনের কর্মসূচিতে পূর্ববর্ধমান আসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। জেলা জুড়ে প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখছেন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। গত রবিবার কাটোয়া শহরের স্টেশন বাজারে তৃণমূল কার্যালয়ে জেলা কমিটির বৈঠকে জেলার সমস্ত বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি থেকে শুরু করে কর্মাধ্যক্ষ-সহ বিভিন্ন স্তরের তৃণমূল নেতৃত্ব হাজির হয়ে সফরের নকশা ও কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছেন। সফর ঘিরে আইন-শৃঙ্খলার কোনও সমস্যা যাতে না হয়, সে-ব্যাপারে পুলিশ-প্রশাসনও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে।
১২ মে শুক্রবার বীরভূম জেলা থেকে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের ফুটিসাঁকোয় পা রাখবেন অভিষেক। সেখান থেকে তাঁকে বরণ করার পর নিয়ে যাওয়া হবে কেতুগ্রামের পাঁচুন্দিতে। সেখানে বিকেলে সভা ও জনসংযোগের পর অভিষেক যাবেন কাটোয়া ২নং ব্লকের জগদানন্দপুর মঠ ও মন্দিরে। সেখান থেকে তিনি যাবেন কাটোয়া-কুরচি রোডে জনসংযোগ যাত্রায়। মহাভারতের বাংলা অনুবাদক কাশীরাম দাসের সিঙ্গি গ্রামের ভিটে ছুঁয়ে অভিষেক পৌঁছবেন পূর্বস্থলীর এসটিকেকে রোড লাগোয়া পারুলিয়া মোড়। সেখানে রয়েছে রোড-শো। কর্মসূচি শেষে অভিষেকের গন্তব্য নাদনঘাটের শ্রীরামপুর। সেখানকার ইউনাইটেড মাঠে অধিবেশন দিয়ে জেলায় প্রথম দিনের কর্মসূচির ইতি পড়বে। শনিবার কালনার ১০৮ শিবমন্দির ঘুরে অভিষেক যাবেন কালনা ২নং ব্লকের বৈদ্যপুরের রাখালরাজা মন্দির। সেখান থেকে বেরিয়ে মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম ও মেমারির গন্তারে পরপর দুটি সভা করবেন অভিষেক। সেখান থেকে জামালপুরে গিয়ে অধিবেশন শেষ করে রাত কাটানো। ১৪ মে রবিবার অভিষেক রায়না, খণ্ডঘোষ বিধানসভা সফর করবেন তিনি। পৈতা ও রায়ান হাইস্কুলের মাঠে জনসভার ফাঁকে সগড়াই থেকে পলেমপুর রোড-শো কর্মসূচি রয়েছে অভিষেকের। বর্ধমানেও কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। চারদিনের কর্মসূচির শেষদিন ১৫ মে অভিষেক ভাতার, এরুয়ার, আউশগ্রাম এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচি, ছোট-বড় সভা করে মঙ্গলকোটের নতুনহাট লালডাঙার মাঠে জনসভা সেরে সন্ধেয় ঢুকবেন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের সীমান্ত এলাকা বুদবুদে। ১৬ মে থেকে অভিষেকের কর্মসূচি পশ্চিম বর্ধমানে।
আরও পড়ুন- তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে চাই : মুকুল সাংমা