প্রতিবেদন : গঙ্গাসাগর মেলাকে পরিবেশবান্ধব করে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন৷ ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এবারের গঙ্গাসাগর মেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে এখন সাগরে সাজো সাজো রব। ১৭ জানুয়ারি অবধি চলবে মেলা। সোমবার আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে সাংবাদিক সম্মেলন করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন৷ উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত, সভাধিপতি নীলিমা বিশাল মিস্ত্রি, সহসভাধিপতি সীমন্তকুমার মালি, সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি কোটেশ্বর রাও–সহ জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা৷ তাঁরা জানান, গঙ্গাসাগর মেলাকে সম্পূর্ণ প্লাস্টিকমুক্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হবে।
আরও পড়ুন-কুৎসা ও অপপ্রচার চালিয়েও কেন তৃণমূল আয়োজিত মঞ্চে
তীর্থযাত্রীদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় তার সবরকম প্রস্তুতি শেষের পথে৷ ফি বছর দুর্যোগের জন্য বিচ ২ ও ৩ অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ফলে এবার স্নানের জন্য বিচ ১–এ তীর্থযাত্রীদের পৌঁছে দিতে নতুন রাস্তা তৈরি করা হয়েছে৷ সরাসরি কে-১, কে-২ বাসস্ট্যান্ড থেকে তীর্থযাত্রীরা সরাসরি পৌঁছে যেতে পারবেন খুব সহজে৷ নিরাপত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর যেমন জোর দেওয়া হয়েছে, তেমন মেলাকে পরিবেশবান্ধব রাখতে নানা কর্মসূচি নিয়েছে প্রশাসন৷ তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ১২ হাজারেরও বেশি স্থায়ী ও অস্থায়ী শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে সঠিক পদ্ধতিতে মল নিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে। আছে ৭টি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট৷ বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করা হবে ৭৫টি ই-কার্ট। বিচ পরিষ্কার, ঝাড়ু দেওয়া এবং বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য ৩ হাজার কর্মী প্রতিদিন সাগরের তটভূমি পরিচ্ছন্নতায় নজর রাখবে৷ তিনি আরও বলেন, গঙ্গাসাগর এলাকা প্লাস্টিকমুক্ত রাখার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে৷ ৪টি প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট থাকছে। তীর্থযাত্রীদের পুজোর সামগ্রী বহনের জন্য জীবাণুবিরোধী এবং পরিবেশবান্ধব কম্পোস্টযোগ্য ব্যাগ বিতরণ করা হবে। সেলফ-হেল্প গ্রুপ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের পরিবেশবান্ধব মেলা বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণ এবং সংগঠিত করা হয়েছে।