কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (KMDA) শিয়ালদহ উড়ালপুলের মেরামতির প্রস্তুতি শুরু করল। প্রায় দুই মাস ধরে পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে উড়ালপুলের প্রতিটি স্তম্ভে দীর্ঘ দিনের বৃষ্টির জল জমে বেশ ভালোই ক্ষতি হয়েছে এবং বেশিরভাগ জায়গায় স্তম্ভের গঠন ফুলে উঠেছে। দ্রুত মেরামত না হলে এই বিপদ বাড়তে পারে তাই দ্রুত সেতু সংস্কারের কাজ করতে চাইছে সংস্থা।
আরও পড়ুন-উত্তরাখণ্ডে সরকারি স্কুলের কাছে বিপুল পরিমান বিস্ফোরক উদ্ধার
ইঞ্জিনিয়ারদের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিটি স্তম্ভকে মাটির তলা থেকে উপর পর্যন্ত কার্বন ফাইবার বা স্টিল প্লেট দিয়ে মোড়া হবে ও সেতুর নীচের অংশে পলিমার ফাইবারের আস্তরণ বসানো হবে। এতে স্তম্ভের গঠনগত শক্তি অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাচী সিনেমা থেকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত এই সংস্কারের কাজ চলবে। বহু বছর ট্রাম চলাচল করত এই ব্রিজের উপর দিয়ে যদিও পরে সেটা বন্ধ করা হয়। ট্রাম লাইনের অতিরিক্ত কংক্রিট স্তরও ওজন বাড়িয়ে দিয়েছে তাই মেরামতের পরে লোড টেস্ট বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুন-‘সার’ নিয়ে বাউলশিল্পীদের প্রচার প্রয়োজন ছিল, মন্তব্য কার্তিকের
আপাতত এই উড়ালপুলের নীচে প্রায় ৩৫০-৪০০টি স্টল রয়েছে। প্রথম দফায় প্রায় ৫০-৬০টি স্টল অন্য জায়গায় সরিয়ে ফেলতে হবে। এই অবস্থায় পুরসভার সাহায্য চাওয়া হয়েছে কারণ পুরসভা অস্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলে কেএমডিএ কাজ শুরু করবে। ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে। পাঁচ দফা মেরামতের কাজ শেষ হলে শিয়ালদহ উড়ালপুল আরও ৪০-৪৫ বছর সচল ও নিরাপদ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ভ্রাম্যমাণ দুয়ারে স্বাস্থ্য : সূচনায় মন্ত্রী স্বপন
কেএমডিএ সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে সংস্কারের কাজের জন্য ১২-১৫ দিন সময় লাগবে। রাতের দিকেই বেশিরভাগ হবে কাজ। ওই সময়ে বিকল্প কোন পথে যান চলাচল করবে, উড়ালপুল পুরোপুরি না আংশিক বন্ধ থাকবে, সেটা কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

